অবরুদ্ধ কালিঘাট, পুরো সিলেটজুড়ে তীব্র যানজট খেসারত দিতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
রহিম উদ্দিন সিলেট জেলা প্রতিনিধি:
অবরুদ্ধ কালিঘাট। পা ফেলার জায়গা নেই। সাধারণ ক্রেতা নয়, খুঁচরা ব্যবসায়ীদের মওজুদ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সাত দিনের লকডাউন সামনে রেখেই এই প্রবণতা। এর খেসারত দিতে হচ্ছে নগরবাসীকে। দিনভর যানজটে নাকাল গোটা মহানগরী।
চলমান করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ৭ দিনের লকডাউনে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তোড়জোড় শুরু হয় গত শনিবার। এর আগে অন্যান্য পদক্ষেপও নেয়া হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত লকডাউনে যাওয়ার সিদ্ধান্তই কার্যকর করছে সরকার।
এমন খবরে উদ্বেগ-আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে সিলেটসহ সারাদেশে। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসায়ীরা মজুদের দিকে ঝুঁকে পড়েন। রোবাবার সকাল থেকে তারা ভীড় করতে শুরু করেন নগরীর ঐতিহ্যবাহী পাইকারি বাজার হিসাবে খ্যাত কালিঘাটের দিকে। ঠেলা, ট্রাক, মিনিট্রাক, ভ্যান- কাভার্ড ভ্যান, রিকশা অটোরিকশা নিয়ে ছুটতে থাকেন তারা। ভীড় করে কালিঘাটের ছোটোবড়ো সব পাইকারি দোকানের সামনে।
প্রয়োজনীয় মালামাল নিলেও ফেরার উপায় নেই। দুপুরের পর থেকে যানজট বাড়তে বাড়তে কালিঘাটের প্রতিটি সড়ক বা গলিতে দীর্ঘ লাইন পড়ে। এত লম্বা লাইন সচরাচর দেখা যায়না।
তবে বাদ আসর শুধু লাইনই নয়, অবস্থাটা দাঁড়ায় অনেকটা পা ফেলা দায়’র মতো। কালিঘাটে প্রবেশের সবকটি রাস্তায়ই অসংখ্য যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। লালদিঘীর পার, মাহজনপট্টি, ডাকবাংলো রোড রীতিমতো অচল।
এসময়ে পণ্যভর্তি ট্রাক নিয়ে শাহচট রোডে দাঁড়িয়ে থাকা চালক আব্দুর রহিম জানান, তিনি প্রায় ২ ঘন্টা থেকে দাঁড়িয়ে আছেন। ১০ গজও এগুতে পারেন নি। বললেন, ‘ কোন বালা যে বারইতাম ফারমু আল্লায় জানইন’।এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদেরও। নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের।
এর প্রভাবে সিলেট মহানগর জুড়ে তীব্র যানজট লেগে আছে। বিশেষ করে বন্দরবাজার হয়ে কোর্ট পয়েন্ট, সুবহানীঘাট পয়েন্ট, নাইওরপুল, কিনব্রিজ মোড়সহ সংলগ্ন এলাকাগুলোতে অনেকক্ষণ ধরে বিভিন্ন ধরণের যানবাহন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
যানজট সামলাতে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশদের রীতিমতো গলদঘর্ম অবস্থায় দেখা গেছে।
Leave a Reply