বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের বাগইল গ্রামে খালা ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভাগ্নীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ ও ডাকাতি করার ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া জেলা পুলিশের চৌকস দল।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১:৩০ টায় বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গণধর্ষণের স্বীকার খালা ও ভাগ্নি নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন। গত ১২ জুলাই তারা বাসযোগে নিজ এলাকা রংপুরে যাচ্ছিলেন। বগুড়ায় এসে বাসটি নষ্ট হয়, রাত বেশি হওয়ায় ওই গার্মেন্টস কর্মী খালার রব্বানী নামে বগুড়ার এক কলিগের অনুরোধে রব্বানীর বন্ধু কাহালু থানাধীন পাইকড় ইউনিয়নের কুশলিহার পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে অবস্থান করেন। আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে সারাদিন থাকার পর তাঁর ভ্যান যোগে তারা নিজ এলাকা রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে পাইকড় ইউনিয়নের বাগইল গ্রামস্থ বড় পুকুর ব্রিজের নিকট পৌঁছা মাত্র গ্রেফতারকৃত আসামিরাসহ আরো অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন আসামি তাদের গতিরোধ করে ভিকটিমদের নিকট থাকা নগদ ৭২ হাজার টাকা, একজোড়া কানের দুল ও একটি বাটন মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে খালা ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ভাগ্নিকে পৃথক স্থানে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। গ্রেফতারকৃতরা হলো কুশলিহার গ্রামের আশরাফ আলী ফকিরের ছেলে আবুল কাশেম মানিক (৩৫), বাগোইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক এর ছেলে মোহাম্মদ রাকিব হাসান (২৩), বাগোইল উত্তরপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ শাকিল হোসেন (২৩), একই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আতিক হাসান প্রান্ত (২২) এবং কুশলিহার পূর্ব পাড়ার মোস্তফা ফকির ওরফে মুস্তা ফকিরের ছেলে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব (২৫)।
পুলিশ সুপার আরো জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কাহালু থানায় ডাকাতিসহ গণধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আজ বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত করিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
Leave a Reply