মোঃখায়রুল ইসলাম হৃদয়.
স্টাফ রিপোর্টার(মুন্সিগঞ্জ).
সারা বাংলাদেশে মুন্সিগঞ্জ জেলার যে কারনে সু-খ্যাতি, সেই সুস্বাদু বিখ্যাত আলুর জেলা মুন্সিগঞ্জ।সারা দেশে আলু উৎপাদন কম বেশি হলেও মুন্সিগঞ্জের আলুর উৎপাদন হার এবং মুন্সিগঞ্জের আলুর এক আলাদা সুস্বাদের কারনে বিখ্যাত হয়ে আছে।
তবে সে আলুর জন্যই মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা সহ একাধিক উপজেলার কৃষকেরা আজ পথে প্রায় বস্তে বসেছে।
যেখানে কৃষকের গত বছরের আলু এখনও হিমাগারে পরে আছে কম দাম এবং ক্রেতার অভাবে বিক্রি হচ্ছে না লাখো লাখো টন আলু।
সেখানে মনে হাজার স্বপ্ন নিয়ে একটু লাভের আশায় মুন্সিগঞ্জের কৃষকেরা আবারও নতুন করে আলু উৎপাদনে কাক ডাকা ভোর হতে সন্ধ্যার পারও মাঠে আলু রোপনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করিতেছেন মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা সহ চর অঞ্চলের কৃষকরা।
আমাদের প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় উপজেলায় সরজমিনে ফসলি মাঠে ঘুরে আলু চাষী একাধিক কৃষক এর সাথে কথা বলে জানিতে পারে।
টেংগারচর ইউনিয়নের কৃষক মোহাম্মদ ছামি মিয়া, এ বছর পনেরো বিগা আলু রোপন করেছে।তার প্রতি ৩৬ শতাংশ জমিতে আলু রোপনে ৩০হাজার টাকার মত খরচ পরেছে।
এ টাকা সব তার নয়, সব দার দেনা করে করেছেন।গত বছরের লোকসান এর জেড় মাথায় নিয়েই নতুন স্বপ্ন বুকে নিয়ে জমিতে আলু রোপন করেছে।তাদের এ জমিতে আলুই নাকি বেশি উৎপাদন হয় অন্য ফসল হতে।
আরেক কৃষক শরিফ জানান,তাদের গত বছরের বীজ আলু বিক্রি না করিতে পেরে বাসায় এনে ফেলে রেখেছেন।
তাদের পরিকল্পনা ছিলো এ আলু বিক্রি করে নতুন করে জমিতে আলু রোপনে যে খরচ তা বহন করিবে, তাও পারেনি ক্রেতা না থাকায় তারা।অপরদিকে বর্তমানে ব্যাংক গুলোও কৃষি খাতে সহজ লভ্য ঋন দিতে অনিহা।অপর কৃষক জাকির জানান,আগে পেলেও সরকারিভাবে এবছর কোনো সার বীজ পায়নি তারা।