সেলিম আহমেদ,
কুলাউড়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ
করোনা পরিস্থিতিতে থমকে গেছে পৃথিবী, সারাদেশ থমকে গেছে। অক্সফার্ম’র তথ্যমতে যেখানে খাদ্যাভাবে প্রতি মিনিটে মারা যাচ্ছে ১১ জন মানুষ, এমতাবস্থায় কুলাউড়ার সিএনজি চালকরা শুরু করেছে জিম্মি বাণিজ্য। নির্ধারিত ভাড়া সেখানে তারা দ্বিগুণ করে দিয়েছে।
তাদের কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তারা দেয় বিভিন্ন অজুহাত! ৩ জনের বেশি নেওয়া যায় না, করোনার সময় আমরা গরিব মানুষ কেমনে চলবো, যাত্রী চলাচল কম, গ্যাস মিলে না, দাম বেশি!
সরকারি বিধি নিষেধ অনুযায়ী গাড়িতে ৩ জন যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালানোর কথা থাকলেও তারা ৫ জন, কখনো কখনো ৬ জন যাত্রী দেখা যায়। অথচ ভাড়া নেয় দ্বিগুণ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একজন যাত্রী বলেন- তারা বলে তারা নাকি গরিব। কথা হচ্ছে, যদি গরিব হয় তাইলে যে দিন মজুর, এই অবস্থায় যার ইনকাম শুন্য ও সে কেমনে দ্বিগুণ ভাড়া দিবে। আর করোনায় সবার ইনকামই প্রায় শিথিল। সিএনজিতে যারা চলে তারা তো কেউ বড়লোক না। তাহলে এই অত্যাচারের খড়্গ কেন?
যদি গ্যাস না মিলে তাইলে প্রতিদিন হাজার হাজার সিএনজি চলে কেমন করে। গ্যাসের দাম ২০-৩০ টাকা বেশি, এর জন্য ভাড়া দ্বিগুন করতে হবে।
এই সব কথাবার্তা বলার পর তারা বলে সবাই তো যাচ্ছে আপনার সমস্যা কি? অন্য গাড়িতে চলে যাও।’
প্রতিদিন বাসার কাজে পরিবারের কর্তা, এসাইমেন্টের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের, বিভিন্ন কর্মজীবিদের বাসা থেকে বের হতে হয়। বের হয়েই পড়তে হয় এমন বিড়ম্বনায়। এদের যত্রণায় কুলাউড়াবাসী অতিষ্ঠ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলালপুরের বাসিন্দা বিশিষ্ট সংগঠক আমিনুল ইসলাম ইমন বলেন- ‘নায্য ভাড়ায় যৌক্তিক সেবা পাওয়া জনগণের অধিকার। লকডাউনকে পুঁজি করে সিএনজি চালকদের এমন নির্যাতন মেনে নেওয়া যায় না।’
Leave a Reply