কুষ্টিয়ায় মাদক ব্যবসায়ী আলম হেরোইনসহ জনতার হাতে আটক হলেও দ্বৈব ইশারায় পালিয়ে যায়
আবীর হাসান স্বাধীন কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত মাদকদ্রব্যসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক হলেও থামছে না মাদক বিক্রয়, ঠিক তেমনই থামছেনা মাদকসেবীরাও। বর্তমানে মাদকের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে পুনরায় মরণনেশা হেরোইনে ঝুঁকে পড়েছে উঠতি বয়সী মাদক সেবীরা। আজ শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে কুষ্টিয়া ফুলতলা মোড়ের একটি দোকানের মধ্যে হেরোইন বেচাকেনা অবস্থায় উক্ত এলাকার বড় পুকুর পাড়ের বাসিন্দা সাদ্দাম বিহারী ছেলে আলম জনতার হাতে আটক হলেও কোনো এক দ্বৈব ইশারায় তারা ওখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছেন উক্ত এলাকার সুশীল সমাজ।
কুষ্টিয়া চৌড়হাস ফুলতলা মোড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ব্যক্তি প্রতিবেদককে বলেন, অত্র এলাকার এক সময়ের বড় মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন চৌড়হাস় ফুলতলা বড় পুকুরের পাশের বাসিন্দা সাদ্দাম বিহারী। বর্তমানে মাদক ব্যবসায়ী সাদ্দামের মাদক ব্যবসায়ের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে তারই ছেলে আলম এখন চালিয়ে যাচ্ছে হেরোইনের রমরমা ব্যবসা।
তারা আরো বলেন, সাদ্দাম বিহারীর ছেলে আলম শুধু নিজ এলাকাতে হেরোইন বিক্রি করে না, সে মোটরসাইকেল যোগে শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবীদের হাতে হেরোইন বিক্রি করে বেড়াচ্ছেন। একটি প্রবাদ বাক্য আছে যে, ‘সাত দিন চোরের একদিন গৃহস্থের’ ঠিক তেমনি আজ দুপুরে ফুলতলা মোড়ে দুজন অল্প বয়সী মাদকসেবীদের কাছে ৫ পুরিয়া হেরোইন ১৫০০ টাকায় বিক্রয় কানে স্থানীয় আম জনতার হাতে ধরা পড়ে। কিন্তু ওই সময় কুষ্টিয়ার প্রশাসনের মোবাইলে ফোন দিলেও ফোন রিসিভ হয় নাই বলে জানালেন বেশ কয়েকজন সচেতন নাগরিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে কুষ্টিয়া শহরের অলিতে গলিতে চলছে ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন, ট্যাপেন্টা, প্যাথিডিন সহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের ব্যবসা। মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে এসকল উঠতি বয়সী সন্তানরা যেমন বিপথগামী হচ্ছেন ঠিক তেমনই মাদক ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মহলের সহযোগিতায় অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন মাদক সিন্ডিকেট এর একটি গ্রুপ। সেইসাথে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অভিবাবকরা সন্তানরা চলে যাচ্ছে বিপথে।
মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উক্ত এলাকার বাসিন্দারা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন অচিরেই সাদ্দাম বিহারী ছেলে আলমকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করেন।
Leave a Reply