1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
কুষ্টিয়ার কুমারখালী লাহিনী-সান্দিয়ারার রাস্তার বেহাল দশা - dainikbijoyerbani.com
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
ad

কুষ্টিয়ার কুমারখালী লাহিনী-সান্দিয়ারার রাস্তার বেহাল দশা

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১
  • ৯২ Time View

কুষ্টিয়ার কুমারখালী লাহিনী-সান্দিয়ারার রাস্তার বেহাল দশা

আবীর হাসান স্বাধীন কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনী-সান্দিয়ারা সাড়ে ১৫ কিলোমিটার সড়কের পিচ উঠে গেছে। সুরকি গুঁড়া হয়ে পরিণত হয়েছে লাল ধুলায়। সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের। তাই যানবাহনকে চলাচল করতে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পাঁচটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষকে।
কুমারখালীর চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনির হাসান রিন্টু প্রতিবেদককে জানান, লাহিনী থেকে সান্দিয়ারা সড়কটি জিকে খালের ওপর দিয়ে সান্দিয়ারা পার হয়ে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার লাঙ্গলবন্ধ পর্যন্ত গেছে। কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা, চাপড়া, চাঁদপুর, পান্টি ও বাগুলাট ইউনিয়ন, খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়ন, ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার কিছু অংশ এবং মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ১২ লাখ মানুষ এই সড়কে যাতায়াত ও মালামাল আনা-নেয়া করে। সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
শুক্রবার বিকেলে দেখা গেছে, কুষ্টিয়ার লাহিনী প্রান্ত থেকে কিছুদূর এগোলেই সড়কের পিচ চোখে পড়ে না। জায়গায় জায়গায় বড় বড় গর্ত। লালচে ধুলা ছড়িয়ে আছে সড়কজুড়ে। যানবাহন গেলেই ধুলা ওড়ে। জিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান খালের উত্তরের পাড় দিয়ে গেছে এ সড়ক। দুই পাশে ফসলের ক্ষেত। খালের পাড়ে আছে বড় বড় গাছ। সড়কের ধুলা উড়ে গিয়ে ক্ষেতের ধান ও সড়কের পাশের গাছে জমেছে।
লাহিনী প্রান্ত থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার এগিয়ে দেখা গেল একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ভেঙে পড়ে আছে। চালক নুরুল ইসলাম অটোরিকশাটির চেসিস পরীক্ষা করে দেখছেন। চালক নুরুল ইসলাম বলেন, সাতজন যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ঝাঁকিতে তার অটোরিকশাটি ভেঙে গেছে। যাত্রীরা হেঁটে চলে গেছেন।
আর কিছুদূর এগোলেই রাস্তার পিচ আর দেখা যায় না। সুরকি গুঁড়া হয়ে পরিণত হয়েছে লাল ধুলায়। কিছুক্ষণ পরপর নির্মাণসামগ্রী নিয়ে বড় বড় ট্রাক যাচ্ছে। তখন ধুলা উড়ে পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। স্থানীয় বহলা গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এখান থেকে চার কিলোমিটার রাস্তা ভয়াবহ ভাঙাচোরা। তারপর কিছুটা ভালো। পরে আবার ভাঙা রাস্তা। এ রাস্তায় যাতায়াত করতে তাদের খুবই সমস্যা হচ্ছে।
লাহিনী থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার এগিয়ে এক জায়গায় গর্ত এত বড় যে নিচের মাটি, বালু উঠে এসেছে। এর ওপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে ধীরে পার হচ্ছে যানবাহন। মোটরসাইকেল আরোহী আলী জামান টুটুলের সঙ্গে কথা হয়। বাড়ি কুষ্টিয়া শহরে। প্রয়োজনে প্রায়ই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। বলেন, প্রচুর ধুলা, ইটের গুঁড়া উড়ছে। রাস্তা একেবারে ভাঙা। সব মিলিয়ে জীবন দুর্বিষহ। মাস্ক ছাড়া এই রাস্তায় যাওয়াই যায় না। মাঝে মধ্যেই মোটরসাইকেল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ৪০ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগছে দেড় ঘণ্টা।
লাহিনী-সান্দিয়ারা ১৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার এবং সদরের বিত্তিপাড়া-জমজমি ১৭ কিলোমিটার সড়ক পুনর্নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয়। এডিবির অর্থায়নে মোট ৩০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ শুরু করার কথা ছিল। অল্প কিছু মাটির কাজ করেছিল তারা। পরে করোনা মহামারি এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক মালিক গ্রেপ্তার হওয়ায় কাজটি বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে টেন্ডারের মাধ্যমে সড়কটি পুনর্নির্মাণের কাজ পেয়েছিল রাফিয়া কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড এম এম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিডেট। এলজিইডির কুষ্টিয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মণ্ডল বলেন, কুমারখালীর লাহিনী-সান্দিয়ারা ১৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার এবং সদরের বিত্তিপাড়া-জমজমি ১৭ কিলোমিটার সড়ক পুনর্নির্মাণের জন্য তাদের কার্যাদেশ দেয়া হয়। এশীয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে মোট ৩০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাদের কাজ শুরু করার কথা ছিল।
তিনি বলেন, অল্প কিছু মাটির কাজ করেছিল তারা। এরপর একদিকে করোনা মহামারি শুরু হয়, অন্যদিকে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটির মালিক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। এরপর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া এলজিইডি ২০২০ সালের শেষের দিকে কার্যাদেশ বাতিল করে নতুন দরপত্রের অনুমোদন চেয়ে এডিবিকে চিঠি দিয়েছে। একই সঙ্গে কার্যাদেশের অর্থ ফেরত নিতে (নগদায়ন) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিলে তারা ঢাকা জজ কোর্টে আরবিটিশন মামলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্মাণকাজের মেয়াদ ৩১ মে ২০২১ এখনও শেষ হয়নি, তাই কাজ বাতিল বা অর্থ নগদায়ন করতে পারবে না কর্তৃপক্ষ। তবে, কুষ্টিয়া এলজিইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মামলা কোনো ইস্যু না, সেটি তার গতিতেই চলবে। এডিবি থেকে অনুমতি পাওয়া গেলেই আবার নতুন করে দরপত্রের মাধমে কাজ শুরু করা যাবে।
এর মধ্যে মানুষের ভোগান্তি বিবেচনায় ভ্রাম্যমাণ রক্ষণাবেক্ষণ ফান্ড থেকে সড়কের বড় বড় গর্তগুলো মেরামতের কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মণ্ডল।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, রাস্তার কাজের টেন্ডার হয়ে গেছে। ওয়ার্ক অর্ডার হলেই কাজ শুরু হবে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি