হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন দমনে প্রয়োজনে জরুরি ক্ষমতা ব্যবহারের কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
গত জানুয়ারি মাস থেকেই মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠে কানাডার রাজপথ। এ সময় সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার ট্রাকচালক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী ৩০ দিনের জন্য ‘বিশেষ অস্থায়ী ব্যবস্থা’ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে ট্রুডো সরকার।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকালে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রুডো জানান, ক্রমাগত আন্দোলনের প্রভাব মোকাবিলায় প্রথমবারের মতো এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। জরুরি ক্ষমতায় (ইমার্জেন্সি অ্যাক্ট) সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, এটি কানাডার নাগরিকদের কাছে একটি নিরাপত্তার বিষয়। আমাদের প্রতি তাদের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার বিষয়। এই আইন অল্প সময়ের জন্য জারি থাকবে।
যদিও এখনই হয়ত পদক্ষেপটি গ্রহণ প্রয়োজন হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চলমান বিক্ষোভে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এর আগে রাজধানী অটোয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন শহরটির মেয়র জিম ওয়াটসন।সে সময় তিনি বলেছিলেন, পুলিশের চেয়ে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা ছাড়িয়ে যাওয়ায় শহরটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, চলমান আন্দোলন শহরটির বাসিন্দাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাকচালকদের জন্য কোভিড-১৯ টিকা বাধ্যতামূলক করা ও বিভিন্ন বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামে বিক্ষোভটি শুরু হয়। এই আন্দোলনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত ক্রসিংয়ে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনার শক্তিশালী ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের তাণ্ডবে সম্প্রতি কানাডাজুড়ে রোগটিতে সংক্রমণ ও প্রাণহানির হার বৃদ্ধি পায়। আর তাই ভাইরাসটির অতি সংক্রামক এই ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার মোকাবিলায় সম্প্রতি নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে কানাডার ক্ষমতাসীন জাস্টিন ট্রুডোর কেন্দ্রীয় সরকার।নতুন নিয়ম অনুযায়ী- কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত পারাপারের সময় ট্রাকচালকদের করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হয়। আর এরপরই দেশজুড়ে বিশাল বিক্ষোভ শুরু হয়।
Leave a Reply