1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
গণমাধ্যমে তথ্য দেয়ার অভিযোগে কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত কুবি প্রশাসনের - dainikbijoyerbani.com
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ন
ad

গণমাধ্যমে তথ্য দেয়ার অভিযোগে কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত কুবি প্রশাসনের

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৯ জুন, ২০২১
  • ৬৬ Time View

অনন মজুমদার, কুবি প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বি ইউনিটে ‘অনুপস্থিত শিক্ষার্থী মেধাতালিকায় ১২ তম’ অবস্থানে আসা সংক্রান্ত তথ্য গণমাধ্যমের কাছে সরবরাহের অভিযোগ এনে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।

রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০তম সিন্ডিকেট সভায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে এই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তবে এই ঘটনায় যাদের গাফেলতিতে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর নাম মেধাতালিকায় চলে আসে তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি কোনোরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

বিপরীতে দুই দফায় তদন্ত কমিটি গঠন করে গণমাধ্যমে তথ্য সরবরাহকারীকেই খুঁজে গেছে প্রশাসন। তদন্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করতে নারাজ তারা।

বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েই মেধা তালিকায় ১২ তম হওয়ার ঘটনা ঘটে।

এর প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘কুবিতে ভর্তি পরীক্ষা না দিয়ে মেধা তালিকায় ১২ তম’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। পরবর্তী সময়ে ৩০ নভেম্বর ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পাশাপাশি এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়।

এই কমিটি ৩ ডিসেম্বর তদন্ত শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানায়, এটি ‘জালিয়াতি’ ছিলো না। বরং ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্থী ভুল রোল নাম্বার ভরাট করে৷ আর এ ভুলের কারণে সে রোল নাম্বারধারী শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকার পরেও মেধা তালিকায় চলে আসে৷ তবে এমন ঘটনা ঘটার পেছনে কাদের গাফেলতি ছিল তা জানায়নি তদন্ত কমিটি। প্রকাশ করেনি তদন্ত প্রতিবেদনও।

একই ঘটনার ধারাবাহিকতায় ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যে কমিটির দায়িত্ব ছিল গণমাধ্যমে এই তথ্য কিভাবে গেলো তা খুঁজে বের করা।

এই তদন্ত কমিটির আহবায়ক ও সিণ্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের তদন্ত কমিটির দায়িত্ব ছিলো এই তথ্য কারা বের করেছে সেটা খুঁজে বের করা। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্য ও মোবাইলে কথোপকথন বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার সঙ্গে সাংবাদিকের সবশেষ কথা বলার ২৬ সেকেন্ড পরেই সংবাদটা প্রকাশ হয়েছে।

এসব তথ্য থেকেই বোঝা যায় যে, মাহবুবুল হক ভূঁইয়াই সাংবাদিককে তথ্য দিয়েছে। এ বিষয়টা নিশ্চিত।

তিনি আরও বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদনে কার কতটুকু শাস্তি হবে, কি হবে সে বিষয়ে কোনো সুপারিশ দেই নাই। তবে সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ঐ হলে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন, পাশাপাশি ডিন অফিসও তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি।

এ বিষয়ে সিণ্ডিকেটের সদস্য সচিব কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের বলেন, এ ঘটনায় গঠিত উচ্চতর তদন্ত কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটা গতকাল সিণ্ডিকেটে তোলা হয়েছিলো।

সেখানে মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক’ তথ্য সরবরাহের যে অভিযোগ তা সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুসারে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷

তবে যাদের কারণে এমন ভুল হলো তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে ভর্তি পরীক্ষার বি ইউনিটের যে কমিটি ছিলো তাদের এই কাজে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিলো৷

উচ্চতর এ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা প্রকাশ করা হবে না। যদি প্রকাশ করতে হয় সেক্ষেত্রে উপাচার্যের অনুমতি লাগবে।

তবে সিণ্ডিকেটের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো লিখিত দেওয়া হয়নি। তাই এটা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারবো না।

এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সিণ্ডিকেট সভাপতি উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুসারে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি কোনো অন্যায় হয় তবে শাস্তি হবে বা ক্ষমা হবে৷

আর এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি স্পর্শকাতর বিষয়৷ এটার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান-সম্মান জড়িত, এটা কেন আমরা প্রকাশ করবো?

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি