ছাগলনাইয়ায় দৈনিক বিজয়ের বাণী প্রতিবেদককে দেওয়া স্বাক্ষাৎকারে
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নেতা ।
সৌরভ মজুমদার :-ছাগলনাইয়া প্রতিনিধি:–
০১) দৈনিক বিজয়ের বাণী প্রতিবেদকঃ আপনার জন্ম ও পারিবারিক পরিচয় বলুন।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নেতা মাসুম বিল্লাহঃ আমি ১৯৮২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ফেনীর ছাগলনাইয়ায় জন্মগ্রহণ করি। আমার পিতা মোঃ মোস্তফা ভূঁইয়া, যিনি ছাগলনাইয়া বাজার কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমার বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল, বিপনী বিচিত্রা। তিনি এখন বার্ধক্যজনিত কারনে অসুস্থ। দোয়া চাই। আমার মায়ের নাম খোন্দকার দেলাফরোজ বেগম। আমরা ৪ ভাই ও ১ বোনের মাঝে আমি দ্বিতীয়। আমার মা মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের বোকরা পরিয়ে হানাদার বাহিনীর থেকে রক্ষা করে ভূমিকা রাখেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গেদুচাচা খ্যাত সাংবাদিক খোন্দকার মোজাম্মেল হক হলেন আমার মামা। যিনি সম্মুখ মুখের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা। ছাগলনাইয়া উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবদুল হাই ভূঁইয়া হলেন আমার শ্বশুর। যিনি প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা।বিবাহিত জীবনে আমি ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের নেত্রী আরমিনা ফেরদৌস আইরিনের সাথে ২০১২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই।
০২) দৈনিক বিজয়ের বাণী প্রতিবেদকঃ আপনার সাংবাদিকতা সম্পর্কে কিছু বলুন।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নেতা মাসুম বিল্লাহঃ, ২০০৩ সাল থেকে আজকের সূর্যোদয়, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, সংবাদ প্রতিদিন, দৈনিক আমাদের ফেনী, দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিন, মসিমেলা, ফেনীর গৌরব পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে কাজ করেছি।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল আজকের সময়, আলোকিত বার্তা এ কাজ করেছি। বর্তমানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিচিত্র খবর ডটকম আমি সম্পাদনা করতেছি। আমি বর্তমানে সাংবাদিকদের সংগঠন ছাগলনাইয়া প্রেস ক্লাবের সহ সভাপতি এবং ফেনী অনলাইন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি।
দৈনিক বিজয়ের বাণী প্রতিবেদকঃ আপনার রাজনৈতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে কিছু বলুন।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নেতা মাসুম বিল্লাহঃ ফেনী সরকারী কলেজে ছাত্র থাকাকালীন ২০০৫ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ভিত্তিক সংগঠন উত্তরাধিকার ৭১ এর ফেনী জেলা শাখার সহ সভাপতি ছিলাম। পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবীতে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চে গণস্বাক্ষর করে ভুমিকা রাখি। ঢাকা কলেজে মাস্টার্সে ছাত্র থাকাকালীন ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গণযোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম। ছাগলনাইয়ার কৃতি সন্তান খোন্দকার তারেক রায়হান যখন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নির্বাচিত হন। সেই সময়ে ছাগলনাইয়ায় তাকে আমি ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানাই। জাতীয় দিবসসমুহ পালন করতাম। এখনো পালন করি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নেত্রী শিরিন আক্তার এমপিকেও নাগরিক পরিষদের পক্ষে সংবর্ধনায় ফুল দিই আমি। জননেতা জনাব নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি মহোদয়কে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় ঢাকা ন্যাম ভবনে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাই। পাশাপাশি আমার সাংবাদিকতার কারনে রাজনীতিতে আমি সামনের সারি আসতে পারি নাই। এটা সত্যি। কিন্তু যখন লিখেছি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে লিখেছি। বিশেষ করে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ছাগলনাইয়া উপজেলা শাখার সদস্য সচিব নির্বাচিত হওয়ার পর ছাগলনাইয়ায় বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন, করোনায় দরিদ্রদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ, ছাগলনাইয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে করোনায় অসহায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার সাথে একাত্ম প্রকাশ করি এবং কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করি। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিবাদ সভায় আমি বক্তব্য রাখি। আল জাজিরা টেলিভিশনে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুলক রিপোর্টের বিরুদ্ধে ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির মানববন্ধনে আমি বক্তব্য রাখি। এভাবে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে লড়াই করে যাচ্ছি।
০৩) দৈনিক বিজয়ের বাণী প্রতিবেদকঃ আপনার বিরুদ্ধে কথিত আছে আপনি নাকি আগে বিএনপি করতেন সে সম্পর্কে আপনার মতামত কি ?
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নেতা মাসুম বিল্লাহঃ এটা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার। আমি কখনোই স্ব-জ্ঞানে বিএনপি বা জামায়াতের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলাম না। যারা অপপ্রচার করে তারা কি প্রমাণ করতে পারবে, জীবনে কোন বিএনপি জামায়াতের নেতার সাথে বসে এককাপ চা খেয়েছি অথবা এমন কোন দালিলিক প্রমাণ কি তারা দিতে পারবে ?? পারবে না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে কেউ বিচ্যুত করতে পারবে না। ইনশাহআল্লাহ
০৪) দৈনিক বিজয়ের বাণী প্রতিবেদকঃ আপনার স্ত্রী ২০১৯ সালে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন থেকে কেন সরে দাঁড়িয়েছিল এর কারণ কি ?
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নেতা মাসুম বিল্লাহঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভাইস চেয়ারম্যান পদ উন্মুক্ত রাখায় আমার সহধর্মীনি নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ছিল। পাশাপাশ আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে জননেতা জনাব নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি মহোদ্বয়ের নিকট আমরা গিয়েছেলাম ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আরমিনা ফেরদৌস আইরিনকে বিবেচনা করতে। কিন্তু জননেতা নিজাম উদ্দিন হাজারী পরের বার বিবেচনা করবে বলে আমাদের জানান। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের আগের দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা জনাব মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল ভাই ঘোষনা করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিবি জুলেখা শিল্পীকে। আরমিনা ফেরদৌস আইরিন ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী । এবং আওয়ামী পরিবারের মেয়। সে কারনে সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিবি জুলেখার প্রতি সমর্থন দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায়। যা সবাই জানেন।
Leave a Reply