ষ্টাফ রিপোর্টারঃ জয়পুরহাট জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় এসিল্যাণ্ড পরিচয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কৌশলে টাকা আদায়। কয়েকটি বেকারী ও হোটেল ব্যবসায়ী দের নিকট থেকে এ টাকা আদায়ের চেষ্টা করা হয় এবং ভাই বোন কনফেকশনারি এণ্ড ফলভাণ্ডার হতে ১২০০০ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। পাঁচবিবি উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউপির দফাদার রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগের তীর উঠেছে। এঘটনায় টাকা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সহ ভুক্তভোগী হোটেল ও বেকারী মালিকরা এর প্রতিকার চেয়ে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের নিকট অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত রুহুল আমিন ইউপির কৃষ্টপুর গ্রামের মৃত ছাদেক আলীর পুত্র। উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউপির ছোট্র মানিক গ্রামের বৈশাখী বেকারী,শালপাড়া বাজারের ভাই বোন কনফেকশনারি এণ্ড ফলভাণ্ডার,ভিআইপি কনফেকশনারি এণ্ড দই মিষ্টি ভাণ্ডার, ইসমাইল হোটেল এণ্ড রেস্টুরেন্টে, বাবু হোটেল সহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এপ্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়। অভিযোগ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রমতে ৫ই সেপ্টেম্বর/২০২৩ সন্ধ্যা উপজেলার আয়মারসুলপুর ইউপির দফাদার রুহুল আমিন উল্লেখিত হোটেল ও বেকারী মালিকদের তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ধরিয়ে দেয় এবং বলেন এসিল্যাণ্ড স্যার কথা বলবেন। তখন রুহুল আমিনের মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে কথা বলা ব্যক্তি নিজেকে এসিল্যাণ্ড পরিচয়ে বলেন, ব্যবসায়ী দের হোটেল গুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও ভেজাল পণ্য আছে মর্মে তার নিকট তালিকা আছে। আগামী কাল বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে এবং সেখানে একলক্ষ টাকা করে জরিমানা ও জেল হতে পারে। এঅবস্থায় তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার করতে চাইলে এই মুহূর্তে ০১৯৩৮৭৪৩১৭০ নগদ নাম্বার এ ২০০০০থেকে৫০০০০টাকা পর্যন্ত পাঠাতে বলেন। এঅবস্থায় প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে ভাই বোন কনফেকশনারি এণ্ড ফলভাণ্ডার মালিক বজলুর রশিদ ১২০০০টাকা প্রদান করেন। এইভাবে অন্যান্য বেকারী ও হোটেল ব্যবসায়ীদের অপারগতা প্রকাশ ও বিকাশ/নগদ এজেন্ট এর সন্দেহ হলে প্রতারণার ফাঁদ থেকে তাদের রক্ষা হয়। ভাই বোন কনফেকশনারি এণ্ড ফলভাণ্ডার মালিক বজলুর রশিদ বলেন, দফাদার রুহুল আমিন এসে এসিল্যাণ্ড স্যার কথা বলবেন বলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ধরিয়ে আমাকে দেন এবং স্যার বলে কথা বলতে বলেন। আমি অশিক্ষিত মানুষ।দফাদারের কথা বিশ্বাস করে কথা বলি।জেল জরিমানা ভয়ে তার দেয়া নগদ নাম্বার এ টাকা পাঠাই। হোটেল ব্যবসায়ী বাবু বলেন, গ্রামীণ পরিবেশে হোটেল ব্যবসা করি।ব্যবসায় যতটা সম্ভব ভাল পরিবেশনে দায়বদ্ধতা রাখার চেষ্টা করি।গত বৃহস্পতিবার দাফাদার রুহুল আমিন তার ফোনটি দিয়ে এসিল্যাণ্ড স্যারের সাথে কথা বলালে আমি টাকা নিয়ে বিকাশ /নগদ দোকানে গেলে এজেন্ট এটি প্রচারক বলে জানালে আমি রক্ষা পাই। ইউপি দফাদার রুহুল আমিনের নিকট এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সাংবাদিক দের নিকট কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি পাঁচবিবি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন,এটিই তার বক্তব্য। উক্ত বক্তব্যে তিনি ইউপি সদস্য আনোয়ারের নিকট থেকে নির্দেশনা পেয়ে বেকারি ও হোটেল ব্যবসায়ী দের সাথে কথা বলেন। এসিল্যাণ্ড মারুফ আফজাল রাজন বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি unoমহোদয়কে তাৎক্ষণিক অবগত করেছি। প্রতারকের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করার জন্য ওসি কে বলা হয়েছে। ইউএনও আরিফা সুলতানা বলেছেন এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি,সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply