1. dainikbijoyerbani@gmail.com : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. hasan@dainikbijoyerbani.com : Hasan :
  3. zakirhosan68@gmail.com : dev : dev
দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে নৈশ প্রহরীর মেয়ে সাবিহা। - dainikbijoyerbani.com
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
ad

দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে নৈশ প্রহরীর মেয়ে সাবিহা।

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ৫৫৪ Time View

দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে নৈশ প্রহরীর মেয়ে সাবিহা।

মোঃ মঈন উদ্দীন চিশতী, দিনাজপুরঃ

সাবিহা আক্তার এর স্বপ্ন বড় হয়ে ডাক্তার হবে। ছোট বেলায় বেশিরভাগ সময় অসুস্থ থাকতো সাবিহা। অসুস্থ অবস্থায় মায়ের কোলে ডাক্তারের কাছে ছুটোছুটি করতো সে। ডাক্তারের কানে লাগানো স্থেটিস্কোপ দিয়ে যখন বুক পরীক্ষা করতো অসুস্থ অবস্থাতেই সে যেন হারিয়ে যেত কল্পনার জগতে। দেখতো বড় হয়ে সেও মানুষের সেবা করছে। বড় হয়ে তার সে স্বপ্ন ধরা দিয়েছে ভাড়া করা ছোট্ট চিলেকোঠায়।হ্যাঁ বাড়ি নয় যেন ছোট্ট একটা চিলেকোঠাই।

 

সাবিহা আক্তার বাউবির দিনাজপুর উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের নিরাপত্তা প্রহরী সুজা মিয়ার একমাত্র মেয়ে। তিনি বগুড়া জেলার শীবগঞ্জ উপজেলার মানকৌর গ্রামের বাসিন্দা।
১৫ বছর ধরে দিনাজপুর সুইহারি এলাকায় ছোট্ট একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন সুজা মিয়া।

ভাইবোন মিলে চারজনের সংসারে বাবা যেখানে সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন, সেখান থেকে সাবিহা আজ তার স্বপ্নের উচ্চ শিখরে পৌঁছে গেছে। অন্য ছেলে মেয়েরা যখন কোচিং- প্রাইভেট নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, সাবিহা তখন ব্যস্ত ছিলেন পড়ার টেবিলে। অনেক কিছু না পাওয়া থেকে বাবার অল্প আয়ের টাকা দিয়েই মানিয়ে নিয়ে পড়ালেখা করেছে সে। নিয়েছে বড় ভাইয়ের সহযোগিতা।

সাবিহা পিএসসি ও জেএসসিতে জিপিএ-৫, এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এবং ২০২০ সালে এইচএসসিতে দিনাজপুর সরকারি কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২০২০-২১ সেশনের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন স্কুলজীবনে সবসময় প্রথম স্থানে থাকা সাবিহা আক্তার।

বড়ভাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার সাজু মোল্লা সবসময় বোনের পেছনে ছিলেন ছায়া হয়ে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত বড় ভাই ছিলেন একাধারে শিক্ষক, গাইড ও বন্ধু। কেননা অল্প বেতনে চাকরি করা বাবার সামর্থ্য ছিল না প্রাইভেট টিউটর কিংবা কোচিং করানোর।
ছোটবোন মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় বেশ খুশি বড়ভাই সাজু মোল্লা।

অভাবের সংসারে এতো দূর কীভাবে, জানতে চাইলে সাবিহা বলেন, মা-বাবার অনুপ্রেরণায় আজ আমি এতো দূর পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছি। মা সবসময় অনুপ্রেরণা দিতেন এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি বলেন, ‘অভাবের সংসার বলতে যেভাবে আছি সেখান থেকে আমাকে ভালো কিছু করতে হবে।’

সাবিহার বাবা সুজা মিয়া বলেন, আমার মেয়ে এবার দিনাজপুর এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। চান্স পাওয়ার পর আমি আমার মেয়েকে বলেছি, সে যেন জনগণের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করে। সে যেন জনগণের ডাক্তার হতে পারে।

সাবিহার ব্যাপারে তার এক স্কুল শিক্ষক বলেন, সাবিহা খুব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। সে তার শিক্ষকদের খুব সম্মান করতো। সে অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। সে তার পরিশ্রমের উত্তম ফল পেয়েছে। সাবিহাকে তার ভালো ফলাফলের জন্য অভিনন্দন জানান তিনি।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি