আবীর হাসান স্বাধীন কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা হলুদবাড়িয়া মাষ্টারপাড়া গ্রামে গত ৮ই আগস্ট রবিবার দুপুরে এলাকার ত্রাস দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী আলিরাজ সহ তার দল কর্তৃক কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রীকে জোরপূর্বক তুলে আনার চেষ্টা ও মারধর করার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় ৬জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। দৌলতপুর থানা পুলিশ ৪জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন আল্লারদর্গা হলুদবাড়িয়া গ্রামের দুর্ধর্ষ সন্ত্রীসী বাহিনীর প্রধান জালাল প্রামানিকের ছেলে আলিরাজ (৩০), মন্টু জোয়ার্দ্দারের ছেলে সুইট (৩০) ও জয়ঘোগা গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে রবিউল (৫০) ও রাজিব (৩৫)।
জানা যায়, কুয়েত প্রবাসী এক গৃহবধু তার একমাত্র শিশু কন্যাকে নিয়ে মাঝে মধ্যে শ্বশুড় বাড়ী ও মাঝে মধ্যে বাবার বাড়ী থাকেন। ঐ গৃহবধুর স্বামী দেশে না থাকায় আলিরাজ বাহিনীর ক্যাডার রাজিব বিভিন্ন সময়ে ঐ গৃহবধুকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। এই প্রস্তাবে ঐ গৃহবধু রাজী না হওয়ায় রাজিবগং তার শিশু কন্যাকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে এসে হত্যা করার হুমকী প্রদান করে। এমনকি যে কোন সময় ঐ গৃহবধুকে তুলে নিয়ে এসে মানহানী করবে বলেও হুমকী প্রদান করে। গত ৮ই আগস্ট রবিবার দুপুর আনুমানিক দেড়টার সময় গৃহবধু তার মেয়ে নিয়ে আল্লারদর্গা হলুদবাড়িয়া মাষ্টারপাড়া বাবার বাড়িতে ছিলেন। সেসময় রাজিব বাহিনী ঐ বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ঐ গৃহবধুকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সেসময় তার আত্মচিৎকারে তার মা এগিয়ে আসলে রাজিব ঐ গৃহবধূর মাকে মারধর করে ও লাথি মেরে ফেলে দিয়ে শ্লীলতাহানী করে। এর কিছুক্ষণ পর আনুামনিক দুপুর ২টার দিকে আলিরাজ বাহিনীর আলিরাজ, রবিউল, রবিন, সুইট, ওবাইদুল, অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আবারো ঐ বাড়িতে প্রবেশ করে ঐ গৃহবধু ও তার মাকে মারধর করে ও ঘরের দরজা-জানালা ভেঙ্গে ক্ষতি করে।
এই ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৌলতপুর থানার এসআই অরুন কুমার জানান, ভুক্তোভোগী প্রবাসীর স্ত্রী দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ১৭, তারিখ: ০৯-০৮-২১, ধারা: ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩৫৪/৪২৭৫১১/৫০৬। চারজন আসামী আটক হয়েছে। অন্যান্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মামলাটি তদন্তাধিন রয়েছে।
Leave a Reply