1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
নওগাঁয় স্বপ্ন সারথি পাবলিক লাইব্রেরি উদ্যোগে বেগম রোকেয়া জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা। - dainikbijoyerbani.com
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৩ অপরাহ্ন
ad

নওগাঁয় স্বপ্ন সারথি পাবলিক লাইব্রেরি উদ্যোগে বেগম রোকেয়া জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা।

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৭৪ Time View

আরাফাত হোসেন হিমেল,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ

বই পড়ার অভ্যাস গড়ি,মাদক মুক্ত সমাজ গড়ি এই স্লোগান কে সমানে রেখে নওগাঁর জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত সংগঠন স্বপ্ন সারথি পাবলিক লাইব্রেরি উদ্যোগে পাঠচক্র ও বেগম রোকেয়া ১৪১ তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানঃ জেলা জজ কোটের সামনে আগ্রনী ব্যাংক ভবন,প্রথম সংবাদ কার্যলয়,নওগাঁ।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মো আরাফাত হোসেন হিমেল, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ রাফি হাসান সাহজ,সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরমান আলিফ,সাংগঠনিক সম্পাদক রাহয়ান উদ্দিন, উপ প্রচার সম্পাদক আরিফ হোসেন,দপ্তর সম্পাদক আঃসিফার সাদ্দিক সহ সংগঠনের সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এই পাঠকরা পাকচক্র পাশাপাশি ও বেগম রোকেয়া ১৪১ তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা করেন আজ রোকেয়া দিবস রোকেয়া দিবসে বেগম রোকেয়ার আদ্যোপান্ত! এমন একদিন ছিল যেদিন বাংলার মুসলিম নারীদের ঘরের চতুষ্কোণের মধ্যেই আটক থাকতে হতো। নারীদের জন্য বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষা-দীক্ষা ছিল পাপের কাজ। ঠিক সেই সময় বাংলাদেশে যে সমস্ত নারী নিজ কর্মদক্ষতার গুণে বাংলার ইতিহাসে অক্ষয়, সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন বেগম রােকেয়া তাদের অন্যতম।

সেই মহীয়সী নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী আজ। প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বরকে রোকেয়া দিবস হিসেবে পালন করা হয়।আজ সেই ৯ ই ডিসেম্বর আজকের দিনে দৈনিক তালাশ টাইমস পাঠকদের জন্য রয়েছে বেগম রোকেয়ার জন্ম,মৃত্যু ও কর্মময় জীবনের আদ্যোপান্ত।বেগম রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর।

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে।বেগম রোকেয়ার পিতার নাম জহিরুদ্দীন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের।তিনি একজন তৎকালীন জমিদার ছিলেন। মাতা রাহাতুন্নেসা চৌধুরানী। রোকেয়ার দুই বোন করিমুন্নেসা ও হুমায়রা। আর তিনভাই যাদের একজন শৈশবে মারা যায়। অন্য দুই বড়ভাই ছিলেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম আবুল আসাদ সাবের ও খলিলুর রহমান আবু যায়গাম সাবের।
ছোটবেলায় বড় বোন ও দুই বড় ভাইয়ের একান্ত উৎসাহ ও সহযোগিতায় বেগম রোকেয়া পারিবারিক ও স্ব শিক্ষায় শিক্ষিত হন।

১৯৯৮ সালে কলকাতার ভাগলপুর নিবাসী উর্দুভাষী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন একজন ডেপুটি মাজিস্ট্রেট ও শিক্ষানুরাগী। বিয়ের পর স্বামীর উৎসাহে উৎসাহিত হয়ে সাহিত্য চর্চা শুরু করেন।
বেগম রোকেয়া ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক ও সুলেখিকা।১৯০২ সালে নভপ্রভা পত্রিকায় তার প্রথম পিপাসা গল্প প্রকাশিত হয়। ১৯০৯ সালে তার স্বামী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন মৃত্যু বরণ করেন। ইতোপূর্বে তাদের দুটি কন্যা সন্তান জন্মলাভ করে শৈশবে মৃত্যু বরণ করেন।
স্বামীর মৃত্যুর পর নিঃসঙ্গ রোকেয়া নারীশিক্ষা বিস্তার ও সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ১৯০৯ সালের ১ অক্টোবর স্বামীর প্রদত্ত অর্থে পাঁচজন ছাত্রী নিয়ে তিনি ভাগলপুরে ‘সাখাওয়াৎ মেমোরিয়াল গার্লস’ স্কুল স্থাপন করেন। কিন্তু পারিবারিক কারণে রোকেয়া ভাগলপুর ছেড়ে কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করেন।

১৯১১ সালের ১৬ মার্চ কলকাতার ১৩ নং ওয়ালিউল্লাহ লেনের একটি বাড়িতে মাত্র আটজন ছাত্রী নিয়ে তিনি প্রথম পর্যায়ে ‘সাখাওয়াৎ মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৬ সালের মধ্যে ছাত্রীসংখ্যা একশত পেরিয়ে যায়। স্কুল পরিচালনা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন। ১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদের সংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন।নারী শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি রোকেয়া সাহিত্য সাধনা করেন।

তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যের মাঝে অন্যতম হলো পদ্মরাগ, মতিচুর, অবরোধবাসিনী মুক্তি প্রভৃতি তিনি ইংরেজিতেও সুলতানাজ ড্রিম নামে সাহিত্য রচনা করেন।মৃত্যুর আগের রাতে রাত ১১টা পর্যন্ত নারীর অধিকার নামক একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর ৫২ বছর বয়সে হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
কলকাতার কাছাকাছি চব্বিশ পরগণা জেলার অন্তগত সোদপুরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
মৃত্যুর পরও বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের মাঝে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর নামে দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামোর নামকরণ করে তাকে চিরস্মরণীয় করা হয়েছে।

বেগম রোকেয়ার নামে সর্ব প্রথম ১৯৬০ এর দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ ছাত্রী নিবাস রোকেয়া হল নামকরণ করা হয়।
২০০৯ সালে নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার নামকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি