আশরাফুল ইসলাম সবুজ
নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি :-

নরসিংদীর রায়পাুরায় বজ্রপাপেত ২ যুবক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ১ জন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রায়পুরার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলো উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে আহাদ মিয়া (২১) ও একই গ্রামের বাছেদ মিয়ার ছেলে রানা মিয়া (২০)। এ ঘটনায় আহত হয়েছে একই গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে শিমন মিয়া (২০)।নিহত রানা ও আহাদ মিয়া ঢাকায় একটি শপিং ব্যাক কারখানায় কাজ করতো। নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত রানার ভাই রুবেল মিয়া।

সূত্রে জানা যায়, নিহত ও আহতরা গাছ থেমে আম পেরে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এসময় আহাদ ও রানা ঘটনাস্থলেই মারা যায় আর আহত শিমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী ও নিহত রানার বড় ভাই রুবেল মিয়া, নিহত আহাদ,রানা ও শিমন তারা তিন জন বন্ধু। আমার ভাই সহ তারা তিন জনই ঢাকায় একটি শপিং ব্যাগ তৈরীর কারখানায় কাজ করে। এবার ঈদের ছুটিতে তারা ৩ জনই বাড়িতে আসে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা ৩ বন্ধু ঝাল মুড়ি খাওয়ার জন্য স্থানীয় বাজারের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বৃষ্টি সাথে সাথে বজ্রপাত শুরু হয়। ওই সময় বজ্রপাত তাদের উপর পড়ে। এসময় তারা ঘাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহাদ ও রানাকে মৃত ঘোষনা করেন। গুরুত্বর আহতবস্থায় শিমনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।

উত্তর বাখন নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিুবুর রহমান,খবর পেয়ে সাথে সাথে নিহতদের বাড়িতে ছুটি আসি। এবং এসে দেখি বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে ঢাকায় পাছানো হয়েছে। পরিষদের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাক্তক সহায়তা করা হবে।

অন্যদিকে বেলাব উপজেলার চর লক্ষীপুর গ্রামের তাজু মিয়ার স্ত্রী হেলেনা বেগম (৪০) নামে আরো একজন নিহত হয়। নিহতের স্বামী বলেন আমার স্ত্রী ছাগলকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য মাঠে গিয়েছিল।হঠাৎ বজ্রপাতের আওয়াজ হয়।পরে খবর পাই বজ্রপাতে মারা গেছে।

বেলাব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ তানভীর আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি।নিহত হেলেনা বেগম বজ্রপাতে মারা যায়।