বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
শীতকে সামনে রেখে মোংলা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে শিম, বাঁধাকপি, গাজরসহ বেশিকিছু সবজি। কিন্তু দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। অন্যদিকে ভোজ্য তেলের দাম কমছেই না বরং দিনদিন বেড়েই চলছে। কেজি প্রতি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল আর বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭০- ১৭৫ টাকায়। বৃহস্পতিবার মোংলা পৌর শহরের প্রধান কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সবজির দাম। শীতকালীন শিমের দাম প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, শালগম ১৬০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ফুঁলকপি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা। করলা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঢেড়স ৬০ টাকা,টমেটো ১২০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, লতি ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লাউ প্রতিটি ২০-৩০ টাকা, কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা,পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা,রসুন ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে । কিছু কিছু মাছের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। এ দিকে চালের দাম বস্তা প্রতি আগের তুলনায় ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ২৫০০-২৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে এক বস্তা চাল। ভালো মানের মিনিকেট চাল ৭০-৭৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে বেড়েছে আটা,ময়দা, চিনি, মসল্লা সুজিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। খোলা আটা আগে বিক্রি হতো ২৫- ২৮ টাকা এখন ৫ টাকা বেড়ে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি প্যাকেট আটা ৩৩ থেকে বেড়ে ৩৮-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরু ও খাসির গোস্তর দাম আগের মত থাকলেও বেড়েছে মুরগীর দাম। কক,ব্রয়লার, লেয়ারসহ বিভিন্ন প্রজাতির মুরগী কেজি প্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মোংলা বাজারের সবজি বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজারে শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বেড়েছে। তাই দাম একটু বেশি তবে সবজি আমদানি বাড়লে তখন ধীরে ধীরে দাম কমে যাবে। বাজার করতে আসা গৃহিণী কামরুন্নেচ্ছা শিউলী এ প্রতিবেদককে বলেন, লাগামহীনভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ায় প্রতিদিন বাজারে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বেশি। যাদের আয় নির্দিষ্ট তাদের জন্য এভাবে চলা কষ্টের। নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে আমাদের সবকিছুই করতে হয়। তাই বাজার মনিটরিং দরকার।
একদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে অস্থির সাধারন মানুষ তারপর আবার গত বুধবার ৩ নভেম্বর থেকে জ্বালানী তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে সরকার। ৪ নভেম্বর রাত থেকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে যার প্রভাব পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে। পরিবহন খরচ বাড়ার অযুহাত দেখিয়ে সব জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
মোংলার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এজিএম মহিউদ্দিন তুষার জানান, মোংলার কাঁচাবাজার মূলত একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করছে। এখানে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কোন নজরদারি নেই। এই সিন্ডিকেট ইচ্ছামত দাম বাড়ায়। এতে আমাদের মত সাধারন মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকেনা।
Leave a Reply