বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ধর্ম নিয়ে ঘটে গেলো এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা, উপজেলার হাতেমপুরে এক মুসলিম মেয়েকে ধর্মান্তরিত করে জোরপূর্বক হিন্দু যুবকের সাথে বিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সন্ধ্যার পরে এমন ঘটনার উন্মোচন হয়েছে, সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় যে, পাথরঘাটা উপজেলার হাতেমপুর ৩নং ওয়ার্ডের নিবাসী মৃত নিরঞ্জন শীলের মেয়ে বাউল শিল্পী হাসি ঢাকার গাজিপুর চৌরাস্তায় বসবাস করাকালীন বাউল গানের সূত্রে পরিচিত হওয়া বাউল শিল্পী মোসাঃ লিজা আক্তার (১৬) (মুসলিম) এর সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, হাসির এলাকা পাথরঘাটায় বেড়ানোর কথা বলে লিজা কে হাসি গত ৮/৫ / ২০২৩ ইং তারিখে পাথরঘাটা উপজেলার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে।
ভিকটিম মোসাঃ লিজা আক্তার গাইবান্ধা জেলার ফুলঝুরি পশ্চিম ডাকাতিয়া চর নিবাসী মোঃ আশ্রাফ আলী মুসুল্লীর মেয়ে, লিজার মাযের নাম মোসাঃ নাছিমা বেগম। বেড়াতে আসার পরে হাসি ও তার পরিবার লিজা কে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও মারধর করে হাসির মানসিক ভারসম্যহীন ভাই নেপাল চন্দ্র শীল (২৫) এর সাথে গত-১০/ ৫ /২০২৩ ইং তারিখ রাতে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মন্দিরে এনে পুরোহিতের মাধ্যমে জোর করে মৌখিকভাবে হিন্দু বানিয়ে বিয়ে সম্পন্ন করে, লিজা জানান আমাকে মুখ বন্ধ রাখতে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তাই ওই সময় আমি কাউকে কিছু বলতে পারিনি।
নেপাল চন্দ্র শীল উপজেলার হাতেমপুর ৩নং ওয়ার্ডের মৃত নিরঞ্জন শীল এর ছেলে, পরবর্তীতে উক্ত মুসলমান মেয়ে লিজা হিন্দু ছেলের বাড়ি থেকে কৌশলে বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আল-আমীন এর কাছে সাহায্যের জন্য গেলে ইউপি সদস্য স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে নিয়ে ঘটনা মিমাংশা করতে গেলে হিন্দু এবং মুসলামান সম্প্রদায় নিয়ে ঝামেলার সম্মুখিন হন, পরে ইউপি সদস্য আলামীন পাথরঘাটা থানা পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের খবর দেয়, ঘটনাস্থলে আরো জানা যায় যে, এই নেপাল চন্দ্র শীল গত কয়েক বছর পূর্বে তার বাবার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করার কারনেই তার বাবার মৃত্যু হয়, এবং নেপালের বোন হাসি একজন মানব পাচারকারী, হাসি কিছু দিন পূর্বে হাজত ও খেটেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয় এবং ভিকটিম লিজা ও অভিযুক্ত নেপাল চন্দ্র শীল ও তার মা রাধা রানীকে পাথরঘাটা থানায় নিয়ে আসা হয়। অভিযুক্ত হিন্দু মেয়ে হাসি পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার (ওসি) শাহ আলম কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিকটিম লিজা’কে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম এবং এমন ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি পলাতক হাসি কে আটকসহ অভিযুক্তদের আইনের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। ধর্ম নিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এলাকার মুসলমানদের মাঝে খোপ প্রকাশ চলছে, সকলের দাবি অভিযুক্ত নেপালের পরিবারের সাথে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মন্দিরের পুরোহিতকেও আইনের আওতায় আনা হোক, কারন সে কিভাবে একজন মুসলিম মেয়েকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করায়। বিয়ের ব্যপারে পুরোহিতের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিয়ে পড়ানোর বিষয়টিকে অস্বীকার করে বলেন আমি এ বিষয় কিছুই জানিনা। তবে ভিকটিম লিজা ও অভিযুক্ত নেপাল চন্দ্র শীল সাক্ষাতকারে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মন্দিরের পুরোহিতের কথাই উল্লেখ করেছেন।
Leave a Reply