মোঃ জহুরুল ইসলাম সৈকত, বগুড়া প্রতিনিধিঃ-
বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম থানাধীন কল্যাননগর ইউনিয়নস্থ ভাটগ্রাম হতে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার পরের দিন ২২ জুলাই ২০২১ ইং তারিখ সকাল ০৯.০০ ঘটিকার সময় ০২ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক মাদ্রাসা পড়–য়া দুই বান্ধবী নিজ নিজ বাড়ী হইতে পাশের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাহির হয়ে যায়। কিন্তু তারা বাড়ীতে ফিরে না আসায় ভিকটিমদ্বয়ের অভিভাবক তাদের আত্মীয়স্বজনদের বাড়ীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে। ভিকটিমদ্বয়ের অভিভাবক নিজেদের মেয়েকে উদ্ধার ও মানসম্মান এর কথা ভেবে কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে নন্দীগ্রাম থানায় ও র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্পে বিষয়টি জানায়। পরবর্তীতে র্যাবের গোয়েন্দা টীম অপহরণকারীকে গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধারে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে এবং বগুড়া জেলার সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। সর্বশেষ ২৭ জুলাই ২০২১ তারিখ রাত্রি ০১.০০ ঘটিকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া এর একটি আভিযানিক দল বগুড়া জেলার সদর থানাধীন খান্দার মোড় হইতে অপহরণকারী ১। মোঃ মারুফ হাসান (১৯), পিতা-মোঃ মাহফুজার রহমান, সাং-কল্যান নগর, থানা-নন্দীগ্রাম, জেলা-বগুড়া‘কে গ্রেফতার এবং তার দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অপহরণকারী চক্র ভিকটিমদ্বয়কে ফুসলিয়ে নন্দীগ্রাম হতে বগুড়া শহরে নিয়ে আসে। ভিকটিমদ্বয় নন্দীগ্রামের একটি দাখিল মাদ্রাসার ৭ম ও ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। অপহরণকারী চক্র ভিকটিমদ্বয়কে ভয় দেখিয়ে চট্রগ্রাম নিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। লকডাউনের জন্য কোন সুবিধা জনক গাড়ী না পাওয়ায় তারা বগুড়া শহরে তাদের একটি বাসায় আটকিয়ে রাখে এবং ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষন করার চেষ্টা করে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। ভিকটিমদ্বয়কে মেডিকেল চেকআপের জন্য নন্দীগ্রাম থানার সহায়তায় আজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। আটককৃত অপহরণকারীকে নন্দীগ্রাম থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় মামলা দায়ের হয়েছে (নন্দীগ্রাম থানার মামলা নং-০৩ তারিখ ২৭/০৭/২১ ইং ধারা-নাঃ শিঃ নিঃ দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) আইনে মামলা করা হয়েছে।
Leave a Reply