বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মধ্য নওমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফয়েজকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) স্কুলে গিয়ে একটি গাছে ওঠার অভিযোগে তাকে মারধর করা হয়।
মারধরের কারণে ফয়েজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারছেন না। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাত ৯ টায় তাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনার দিন ফয়েজ স্কুলে গিয়ে একটি গাছে ওঠে। এ কারণে তাকে গাছ থেকে নামিয়ে বেধরক কিল, ঘুষি, লাথিসহ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম দফতরি রফিকুল ইসলাম। ঘটনার পর সারাদিন বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে তাকে আটকে রাখা হয়। বিকালে স্থানীয় এক ফার্মেসি ওষুধ কিনে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। বাড়িতে গিয়ে ফয়েজ বাবা-মায়ের কাছে ঘটনার বিবরণ দেন।
ফয়েজের বোন রোজিনা বেগম বলেন, আমার ভাইকে নির্মমভাবে মারধর করে আটকে রাখেন রফিক। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযুক্ত রফিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুলে এসে উঁচু একটি গাছে উঠেছে ফয়েজ। সে গাছ থেকে পড়ে গেলে মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হতো মনে করে আমি বকাঝকা করে গাছ থেকে নামিয়ে সামান্য একটা থাপ্পড় দিয়েছি। একটু শাসন করেছি।
বাউফল থানার ওসি আরিচুল হক বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply