দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):
একদিকে হারিয়েছেন বাবাকে, হয়েছেন মামলার আসামী,অন্যদিকে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন রক্ষায় বাড়িঘর ছেরে এলাকা হারা হয়ে ও হুমকির মুখে দুশ্চিন্তাই জীবন যাপন করছেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের আব্দুল কাইয়ুম ও তার পরিবারের লোকজন।
তিনি উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের দ্বীনেরটুক গ্রামের মৃত আমির আলীর ছেলে।
সাংবাদিকদের আব্দুল কাইয়ুম জানান,তার বাবা মরহুম আমির আলী বিএনপি করতেন ও সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন। তিনি সঠিক,ইনসাফ ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠন করার লক্ষ্যে এলাকায় দূর্নীতি,অন্যায়কারী ও মাদকব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অঙ্গিরকারবদ্ধ ছিলেন। এরি জেরে নামধারী স্থানীয় কিছু আওয়ামীলীগ নামদারীদের হাতে জীবন দিতে হয় আমির আলী’র।
এতে এলাকার সুরুজ আলী,রানা,নজরুল ও সেবুল নামের ৪ জন ব্যাক্তির নামে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে ও কোন সুরাহা পায়নি ষড়যন্ত্রের শ্বিকার অভিভাবকহারা আব্দুল কাইয়ুমের পরিবার।
অভিযোগে জানা যায়, উপরোল্লিখিত ৪ জন ব্যক্তি মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ও চুরাকারবারি। তাদের পথের কাটা ছিলো মৃত আমির আলী,যার ফলে তারা তাদের অনৈতিক স্বার্থে আঘাত পায়। তাদের অনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় মৃত আমির আলী ও তার ছেলে আব্দুল কাইয়ুমকে একটি মামলার আসামী করেন( মামলা নং -২১৫/২০১৬) যা একদম মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী তাদের পরিবারের।
তবে সাজানো এই মামলায় আমির আলীর পরিবারের তেমনএকটা ক্ষতি করতে না পারায়,তারা উঠে পরে লেগে যায় আমির আলীকে প্রানে মারার চেষ্টায়। প্রানে মারা হয় আমির আলীকে। ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর নিখোঁজ হন আমির আলী। নিখোঁজের একদিন পর পার্শবর্তী একটি পুকুরে মিলে আমির আলীর বস্তাবন্দী মৃত দেহ। ওই ঘটনায় মৃত আমির আলীর ছেলে আব্দুল কাইয়ুম ২১ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৪২১/২০-২১)। সমাজ থেকে অন্যায়,অত্যাচর দূরকরে ন্যায়সঙ্গত সমাজ ঘটনকরার চেষ্টায় আমির আলীর জীবন দিয়ে ও শান্তিতে রাখতে পারেনি তার পরিবারকে। পরে দফায় দফায় চলে সন্ত্রাসী বাহিনীদের আক্রমন,চোঁখ পরে তার ছেলে আব্দুল কাইয়ুমের উপর। নিজের জীবন বাঁচাতে আব্দুল কাইয়ুম চলে যায় দূরপ্রবাসে। পরেই শুরু হয় তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য মা,ভাই ও বোনদের সাথে ষড়যন্ত্র। পরিবারটিকে নিংস্ব করার চেষ্টায় রাতের আধারে একাধিকবার চলে তাদের বসতঘরে আক্রমন।
এলাকার ওই মাদকও চুরাকারবারিদের হাত থেকে প্রানে বাঁচার চেষ্টায় নিরাপত্তার দাবী জানিয়ে অভিভাবকহারা ওই পরিবারের সদস্যরা বলেন তাদের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলে সঠিক তদন্ত করে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনার মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা সহিত জীবন যাপন করার সুযোগ দেওয়ার দাবী জানান।
Leave a Reply