1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
মহাস্থান মাজারের সদকার গরুর গোস্ত বন্টনে অনিয়ম ডিসির নির্দেশে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন  - dainikbijoyerbani.com
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ পূর্বাহ্ন
ad

মহাস্থান মাজারের সদকার গরুর গোস্ত বন্টনে অনিয়ম ডিসির নির্দেশে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন 

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১২৮ Time View
বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
ঐতিহিক মহাস্থান মাজারের ফকির মিসকিন ও গরীবদের জন্য দানকৃত সাদকার গরুর গোস্ত ফকির-মিসকিনদের না দিয়ে নিজেরাই ভাগবাটোয়ারা করে নিয়ে গেল মহাস্থান মাজার মসজিদের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী সচেতন এলাকাবাসীর।
জানা যায়, গত ৪/১০/২৩ ইং তারিখে নাম বলতে অনিচ্ছুক জনৈক এক ব্যক্তি মানত করে যে একটি গরু মহাস্থানের হাট থেকে ক্রয় করে এবং  সম্পূর্ণ গোস্ত  বগুড়ার মহাস্থান শাহ সুলতান (রঃ) এর মাজারের গরীব মিসকিনদের মাঝে বন্টন করে দিবেন।সে অনুযায়ী তিনি মহাস্থান হাট থেকে ৩৯,৪০০/- টাকা দিয়ে একটি গরু ক্রয় করে নিয়ে এসে মাজারে জবাই করে গোস্ত গুলি কিছু গরীব মিসকিনদের মাঝে তিনি নিজে থেকে বিতরণ করেন বলে শোনা যায়। পরে মাজারে দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্ব দিয়ে তিনি চলে যান।তিনি চলে গেলে ৪/৫ কেজি গোস্ত ৮/১০ জন ফকির মিসকিনকে দিয়ে অবশিষ্ট গোস্ত গুলি যেমন সিনা কলিজা ভালো ভালো  গোস্তগুল মাজারের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অনেকেই ব্যাগে করে বাড়ী নিয়ে যায় বলে গরিব অসহায়,ফকির মিসকিনেরা অভিযোগ করে। মাজারের কর্মরত কিছু স্টাফের নির্দেশে এ জঘন্য কাজ সাধিত হয়েছে বলে নাম না প্রকাশে অনেক গরীব মানুষেরা অভিযোগ করেছে। তারা আরও বলেন আমাদের কথা যদি তারা জানতে পারে পরবর্তীতে আমাদের কে আর মাজারের পোলা দিবেনা। এমনকি মাজারে থাকতে দিবেনা।
মাজারে অবস্থানরত কিছু মুসাফিররা অনেক দিন যাবৎ মাজারের আশে পাশে বসবাস করে আসছিলেন। তাদের কে মাজারে মানতকৃত পোলা ও অন্যান্য খাদ্য দিতেন।  বর্তমানে সেটাও আর দেওয়া হয় না। এক মুসাফির বলেন বাবা আমরা গরিব অসহায় তাই গরুর গোস্ত কিনে খেতে পারিনা। মাজারে মানতকৃত অনেক কিছুই পেতাম। এখন বর্তমানে মাজারে কর্মকর্তা কর্মচারী তাদেরই হয়না আমাদের কি দিবে। নিজের লোকদের ব্যাগ ভর্তি করে পোলা দেওয়া হয়। আমরা চাইতে গেলে বলে পরে আসো এখন পোলা নেই।
শুধু তাই নয় কর্মকর্তার নির্দেশে মাজারে দানকৃত, বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন, নতুন গাছের, বাদাম, আম, জাম, কাঁঠাল, বেদেনা, নারিকেল, ডাব সহ অন্যান্য ফল, খাদ্যের মধ্য বিরানি, গোস্তের তরকারিসহ সাদা ভাত গরীবদেরকে না দিয়ে তারা নিজেদের মধ্য ভাগ বাটোয়ারা করে বাড়ি নিয়ে যায়।তারা দীর্ঘদিন ধরে এধরনের কাজ করে আসছে। বিষয়টি সম্পর্কে মাজার মসজিদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক জানতে পেরে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিষয়টি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে মহাস্থান মাজার মসজিদের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জাহিদের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি মুঠো ফোনে বলেন মানতকৃত গরুর গোস্ত সবার মাঝে বন্টন করা হয়েছে।তার কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেলেও বাদবাকি ভুয়া।
এমতো অবস্থায় সাধারন মানুষের দাবী যদি জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে অন্যরা এধরনের জঘন্য কাজ করতে সাহস  পাবেনা। অন্যদিকে গরিব অসহায়দের ছদকার গোস্ত গরিবদের না দেওয়ার ঘটনাটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে গরিব মিসকিনদের ভয়ভীতি দেখায়।
ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি