1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
মুসলিলিম গৃহবধুর সাথে পরকীয়া হিন্দু ছেলে হাতে-নাতে আটক স্ট্যাম্পের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ ! - dainikbijoyerbani.com
সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৮ অপরাহ্ন

মুসলিলিম গৃহবধুর সাথে পরকীয়া হিন্দু ছেলে হাতে-নাতে আটক স্ট্যাম্পের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ !

সাফায়েত খান ঃ

বরিশালের সদর উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকায় পুলিশ সদস্যর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার অভিযোগে এক হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলে হাতে-নাতে আটক হওয়ায় স্ট্যাম্পের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই এলাকার লিটন মেম্বার ও পরকীয়া আসক্ত সেই নারীর দেবর মনির রাঢ়ীসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

গত ২৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত আনুমানিক ১২টার দিকে দাড়িয়াল ইউনিয়নে বাংলা বাজার এলাকায় রাঢ়ী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন বাজারের মুদি দোকানী পলাশ দুই সন্তানের জননী ওই নারীর সাথে মুদি দোকানি পলাশের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল বহুবছর যাবত।
তবে চাকরির সুবাধে স্বামী বিভিন্ন স্থানে কর্মরত থাকায় অবৈধ পেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের বিতর স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রায়ই ওই নারীর ঘরে যাতায়াত করত পলাশ কিন্তু চোরের দশ দিন গিরাস্তের একদিন এমন ছন্দের মতই জালে আটকে পড়ে পলাশ। বিষয়টি নজর কারে গ্রামবাসীর।

সোমবার রাত (১২) দিকে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন পলাশ। এর পূর্বে ওৎ পেতে থাকেন মেম্বার লিটন ও নারীর দেবর মনির রাঢ়ীসহ তার সহযোগীরা ঘর ঘেরাও করে। এর পর পলাশকে ও নারীকে হাতে-নাতে আটক করে তারা।
এরপর পলাশকে একতলা বাড়ি ছাদে নিয়ে বেদম মারধর করে এবং তার পরকীয়ার বিষয়টি যেন সামনের দিকে না যায় এ নিয়ে তাকে সতর্ক করেন এলাবাসী।

এরপর লিটন মেম্বর ও ওই নারীর দেবর মনির রাঢ়ী মারধর করে বাধ্য করেন ৫ লক্ষ্য টাকার জরিমানা দেওয়ার কথা স্বীকার করান পলাশকে।

৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করলে পলাশের বড় ভাইকে খবর দিলে মারধর থেকে রক্ষা পান পলাশ।

অভিযুক্ত ওই নারীর সাথে সংবাদ কর্মীরা যোগাযোগ করতে চাইলে, পরকীয়ার বিষয়ে সে কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এলাকাবাসী জানান পালাশকে মারধর করে রাতেই লিটন মেম্বর এর বাড়িতে নিয়ে যান, সেখানে নিয়ে স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র হয় লিটন মেম্বর কে ৫ লক্ষ্য টাকা দেওয়ার।
এরপর ১লক্ষ্য ৭০ হাজার টাকা মেম্বার কে দিয়ে রাতেই পলাশের বড় ভাই সুজল ছাড়িয়ে নেন।
বাকী টাকার জন্য পলাশের মটর সাইকেল ও হাতের ফোন আটকে রাখেন মেম্বার।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত পলাশের মুদি দোকানে মালামাল ক্রায় করতে গিয়ে ওই নারীর সাথে সম্পর্ক হয় পলাশের।

তাছাড়া ও পালাশের দোকানে গ্রামের অনেক নারী -ই মালামাল ক্রায় করতে যান। এ সময় পলাশ তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনৈতিক কর্মকান্ড করে গেছেন প্রায় সময়ই।
বিষয়টি সকলেরই জানা।
এদিকে বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পলাশ হিন্দু হলেও বেশীরভাগ মুসলিম বিবাহিতা ও অবিবাহিত নারীদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে অনৈতিক কর্মকান্ড করতে বাধ্য করতো।
এ ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে পলাশের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত পলাশের সাথে, গণমাধ্যম কর্মীরা একাধিক বার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে, পলাশের মুঠো বন্ধ পায়।

এ বিষয়ে লিটন মেম্বার পলাশকে আটকানোর বিষয়টি স্বীকার করলেও মারধর টাকা পয়সা নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করেছেন। স্ট্যাম্প ও মোটরসাইকেল আটকানোর বিষয়ে জানতে চাইলে, মেম্বার বলেন এ বিষয় আমি কিছুই জানি না। কিন্তু স্থানীয় অনেক সূত্রে জানা যায় সে রাতে লিটন মেম্বার পলাশের কাছ থেকে, স্ট্যাম্প এর মধ্যেমে টাকা নিয়ে পলাশকে ছেড়ে দেন।

অভিযুক্ত নারীর দেবর মনীর রাঢ়ীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা সত্যি এক রুমে তাদের পেয়েছি, মনীর রাঢ়ী কাছে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ও অস্বীকার করেন এবং পলাশ ও অভিযুক্ত নারীর অপকর্মের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে বলেন আমরা কোন ব্যবস্থা নেই নি তাদের কে এমনিতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, এবং তিনি আরো বলেন, আমার বড় ভাই কে এ বিষয় টি জানিয়েছি, তারা ডিভোর্সের প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছেন, বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের মোসলমানরা একটি মানববন্ধন করেছে।
তারা জানিয়েছে পলাশ, ওই অভিযুক্ত নারী যে অপকর্ম করেছে, এটি ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করছে। তারা আরো বলেন সুধু ইসলাম ধর্মই না পলাশ তার হিন্দু ধর্মে কেও অবমাননা করছে, আর এটা লিটন মেম্বর ও অভিযুক্ত নারীর দেবর মনীর রাঢ়ী টাকা খেয়ে, বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছে। বক্তব্যে আরো বলেন, পলাশ ও অভিযুক্ত ওই নারীসহ, লিটন মেম্বার ও তার সহযোগীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। যাতে পরবর্তীকালে এই ধরনের অপকর্ম কেউ না করতে পারে।

এবিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি তবে অভিযোগ পেলে আইন-আনুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

 

ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি