বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে খাল বিল নদ নদী ও সুন্দরবন কোলঘেঁষা মোংলা উপজেলা সহ এর আশেপাশের উপজেলায় ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে শীত। ক্রমেই কমছে বাতাসের আর্দ্রতা আর বাড়ছে হিমেল ঠাণ্ডা পরশ। বর্তমানে দিনের বেলায় গরম ও রাতের বেলা শীত অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে ঠাণ্ডার কারণে ভোর বেলায় কাঁথা শরীরে মুড়িয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। মোংলায় শীতের আগমন জানান দিচ্ছে হালকা কুয়াশার উপস্থিতি। কার্তিক মাসের শেষের দিক থেকে হালকা কুয়াশা পড়ছে। ভোরবেলা হালকা কুয়াশা আর শিশিরে উদ্ভাসিত সবদিক। স্থানীয়রা জানান, দিনের বেলা বেশ সামান্য গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই হালকা কুয়াশা ও শীত পড়তে শুরু করে। রাতভর হালকা বৃষ্টির মত টুপটুপ করে কুয়াশা ঝরতে থাকে। বিশেষ করে ধানের শীষে কুয়াশা বিন্দু বিন্দু জমতে দেখা যায়। সকালে যারা ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটাচলা করেন কুয়াশার কারণে তাদের কাপড় ভিজে যায়। এদিকে পার্শবর্তি রামপাল উপজেলার এক কৃষক জানান, আমন ধান পাকা শুরু করলেই আমরা বুঝি শীত আসছে। আমাদের মাঝে শীত আসে প্রচণ্ড গরমের উপর হিমেল শীতের পরশ হিসেবে। আমাদের এলাকায় আমন ধান নেই বললেই চলে। তবে দু দিন থেকে আবহাওয়া খারাপ, আকাশে মেঘ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। হয় তো এর সাথে শীতের আর্বিভাব ঘটছে। প্রবীণ মেম্বার আলহাজ্ব মো.আব্দুল মালেক বলেন , শীতকাল বলতে আমরা উৎসবের ঋতুকে বুঝি। এ সময় গ্রাম বাংলায় পিঠা পুলি আর ভাপাপিঠার আয়োজন করা হয়। পল্লী চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎ মন্ডল জানান, বর্তমান আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সন্ধিক্ষনে শীত ও গরম বিরাজ করছে। পাশাপাশি এ কারণে শিশুদের মাঝে দেখা দিচ্ছে সর্দি কাশি। তাই এ সময় অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে যাতে শিশুদের শীত গরম আবহাওয়া থেকে রক্ষা করা যায়।
Leave a Reply