1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
লক্ষ্মীপুর আধাঁর মানিক গ্রামে পুলিশ ক্যাম্পে স্বস্তি ফিরছে এলাকায়। - dainikbijoyerbani.com
মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
ad

লক্ষ্মীপুর আধাঁর মানিক গ্রামে পুলিশ ক্যাম্পে স্বস্তি ফিরছে এলাকায়।

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১
  • ৬১ Time View

জিহাদ হোসেন রাহাত

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আধাঁর মানিক গ্রামে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণ এলাকায় হিসেবে এসময় পরিচিতি ছিল।
ওই এলাকায় মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে নতুন পুলিশ ক্যাম্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে জেলার সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জের আধাঁর মানিক এলাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এ ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাইন ভুলূর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন প্রমুখ।

জানা যায়, জেলার কমলনগর, চন্দ্রগঞ্জ ও সদর থানা এবং নোয়াখালী সদরের সীমান্তবর্তী এলাকা তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আঁধার মানিক এলাকা ।

দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় চুরি, ডাকাতি ,খুন, মাদক কারবারি, নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধের অভায়ারন্য ছিল। সদর থানা এলাকা থেকে ২০ কিলোমিটার দূর হওয়ায় এবং রাস্তা ঘাট অনুন্নত থাকায় অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর পুলিশ পৌঁছানোর আগেই অপরাধীরা পালিয়ে যেত।

এমন পরিস্থিতি স্থানীয় প্রায় ১ লাখ বাসিন্দার পুলিশি সেবা নিশ্চিত করার দীর্ঘদিনের দাবী ছিল এলাকাবাসীর। অবশেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ভুলূ ও তার ভাই অনুপম হোছাইন নিজস্ব মালিকানাধীন ৬০ শতক জমি পুলিশ ক্যাম্পের জন্য বাংলাদেশ পুলিশকে দান করা হয়। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় দানশীল ব্যাক্তিবর্গ ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নেয় পুলিশ প্রশাসন।

এদিকে পুলিশ ক্যাম্পকে ঘিরে আশার সঞ্চার সুষ্টি হয়েছে জনমনে। স্থানীয়রা বলছেন নারী-শিশুসহ সকল বাসিন্দা নিরাপদে বসবাস করতে পারবেন এখন।

ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক হোছাইন ভুলু জানান, এলাকার আইন-শৃঙ্খলা উন্নয়নের লক্ষে ক্যাম্প স্থাপনের জন্য আমি এবং আমার ভাই অনুপম হোছাইন ৬০ শতাংশ জমি দান করেছি। এ এলাকার যে কোন উন্নয়ন মূলক কাজে আমাদের সহযোগীতা থাকবে। ভূমি অফিস বা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে যতটুকু জমির প্রয়োজন আমরা দিতে প্রস্তুত আছি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ড এ. এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, আধাঁর মানিক এলাকাটি সদর থানা থেকে প্রায় ২০ কি. মি. দূরে অবস্থিত। এছাড়া চন্দ্রগঞ্জ, কমলনগর থানা এবং নোয়াখালী জেলার সীমান্ত এলাকা এটি। তাই সদর থানা থেকে এসে এ এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখা একটু সমস্যা হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি ছিলো- এ এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হোক। তাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য ৬০ শতাংশ জমি দান করেছেন। এলাকার বিত্তশালী, দানবীর ও পুলিশের নিজস্ব অর্থায়নে ক্যাম্পের ভবন নির্মাণ করা হবে।
ক্যাম্পটি চালু হলে প্রায় লক্ষাধিক জনগণ পুলিশের সহায়তা পাবে। সন্ত্রাস এবং মাদক নির্মূল করে আঁধার মানিক এলাকাকে একটি শান্তির জনপদ হিসেবে গড়া হবে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি