1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
লন্ডনে ইউকেবিডিটিভির ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন - dainikbijoyerbani.com
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
ad

লন্ডনে ইউকেবিডিটিভির ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৪২ Time View

লন্ডনে ইউকেবিডিটিভির
ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন
হাকিকুল ইসলাম খোকন ,সিনিয়র প্রতিনিধি:ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে ইউকেবিডি বিডি টিভির বিশেষ আলোচনা সভা “মুজিবনগর সরকার”শীরনামে গত রোববার ২৫শে এপ্রিল বিকাল ৪ টায় এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাংবাদিক মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ইউকে বিডি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইন্জিনিয়ার খায়রুল আলম লিংকন-এর উপস্থাপনায় উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীন রাজনীতিবিদ সুলতান মাহমুদ শরীফ ও প্রধান আলোচক ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক ।বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক বিশিষ্ট লেখক এমএ সালাম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাবেক যুবনেতা আনোয়ার উজ্জামান চৌধুরী. যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল আহাদ চৌধুরী. মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি নাট্যকার আব্দুল মতিন. বঙ্গবন্ধু লেখক ও সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক সুজাত মনসুর. নিউইয়ক স্টেইট আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শাহিন আজমল. মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুহান আহমদ টুটুল. যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক এস এম সুজন মিয়া. যুক্তরাজ্য অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক কবি আজিজুল আম্বিয়া. ও বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমি ইউকের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম। খবর বাপসনিউজ।
সভায় বক্তারা বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য এক এক চির ভাস্বর অবিস্মরণীয় দিন।১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর বর্বরোচিত হামলা চালানোর পর একই বছরের ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্র রূপে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা ঘোষণা করা হয়। মুজিবনগর সরকার গঠন করার ফলে বিশ্ববাসী স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামরত বাঙালিদের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেন। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকার ‘মুজিব নগর সরকার’ গঠন বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবগাথা সাফল্য। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এদিন মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। পরে এই বৈদ্যনাথতলাকেই ঐতিহাসিক মুজিবনগর নামকরণ করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
বক্তারা বলেন ইতিহাসের পৃষ্ঠা রক্তে রাঙিয়ে, আত্মত্যাগের অতুলনীয় দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে একাত্তরের এই দিনে যে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এ দেশের মানুষ, দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন তার চূড়ান্ত পরিণতি। এর ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অনুষ্ঠিত এমএনএ ও এমপিদের অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে যুদ্ধ পরিচালনা ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়।
আলোচনায় বক্তারা আর বলেন মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও পাক হানাদার বাহিনীকে স্বদেশ ভূমি থেকে বিতাড়িত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঘোষিত এবং নির্দেশিত পথে স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল গঠিত বাংলাদেশের অস্থায়ী মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীপরিষদের সদস্যরা ১৭ই এপ্রিল শপথ গ্রহণ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।

এখানে উল্লেখ্য যে.১৯৭১ সালের ১৭ ই এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক সূচনার ঐতিহাসিক তাৎপর্যময় এই অনন্য দিনে তদানীন্তন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহাকুমার বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননে সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বাধীনতা লাভের অদম্য স্পৃহায় মরণপণ যুদ্ধে লিপ্ত সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক জনগণ ও দেশি-বিদেশী অসংখ্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনতে এবং স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দিক-নির্দেশনা, সাংবিধানিক এবং যৌক্তিক অধিকার রক্ষার জন্য মুজিবনগর সরকার গঠন করা তৎকালীন সময়ে অপরিহার্য ছিল।শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবদুল মান্নান এম.এন.এ এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী এম.এন.এ। নবগঠিত সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে এখানে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন  ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সরকার গঠন এবং ১৭ এপ্রিল সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন হয় ১৮ এপ্রিল। এদিন সরকারের কাঠামো ছিল নিম্নরূপ:
মুজিবনগর সরকারকে ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া কয়েকটি বিভাগ মন্ত্রিপরিষদের কর্তৃত্বাধীনে থাকে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম নিম্নরূপ:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানরাষ্ট্রপতিসৈয়দ নজরুল ইসলামউপরাষ্ট্রপতি (রাষ্ট্রপতি পাকিস্তানে অন্তরীণ থাকার কারণে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত)তাজউদ্দীন আহমদপ্রধানমন্ত্রীএবং প্রতিরক্ষা, তথ্য, সম্প্রচার ও যোগাযোগ, অর্থনৈতিক বিষয়াবলি, পরিকল্পনা বিভাগ, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য, শ্রম, সমাজকল্যাণ, সংস্থাপন এবং অন্যান্য যেসব বিষয় কারও ওপর ন্যস্ত হয়নি তার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীখন্দকার মোশতাক আহমদমন্ত্রী, পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়এম মনসুর আলীমন্ত্রী, অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়এ এইচ এম কামরুজ্জামানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়. মুজিবনগর সরকারের উপরাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীবর্গ এবং প্রধান সেনাপতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এস.এ সামাদ প্রতিরক্ষা সচিব। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম.এ.জি ওসমানী, চীফ অব স্টাফ কর্নেল আবদুর রব, উপ-সেনাপতি এ.কে খন্দকার, এবং ডি.জি মেডিকেল সার্ভিস ও বিভিন্ন পদবীর স্টাফ অফিসার এ দপ্তরের সাথে সংশ্লিষ্ট। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুদ্ধরত অঞ্চলকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে প্রতিটিতে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়। তবে ১০নং বা নৌ সেক্টরে কোন সেক্টর কমান্ডার ছিল না, কমান্ডোরা যখন যে এলাকায় অভিযান করত সে সেক্টরের কমান্ডারের অধীনে থাকত। এ ছাড়াও জেড ফোর্স, কে ফোর্স ও এস ফোর্স নামে তিনটি ব্রিগেড গঠন করা হয়। কভিড ১৯ তথা করোনা ভাইরাস এর কারণে বড় পরিসরে সভা সমাবেশ না হলে ও মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি