কাঁকন সরকার , শেরপুর: শেরপুরে জেলা বিএনপির নবগঠিত আহবায়ক কমিটির আনন্দ শোভাযাত্রা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে গত ২৬ মে পরিবেশ উপদেষ্টার শেরপুর গারো পাহাড় এলাকায় আগমন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান শেষ সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলার প্রধান আসামি ফ্যাসিস্ট দোসর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এর সরব উপস্থিতিতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সাংবাদিক সমাজ।
১১ জুন বুধবার বিকেলে শেরপুর জেলা শহরের থানা মোড় এলাকায় জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটির আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ওই আনন্দ শোভাযাত্রায় সাংবাদিক হামলা মামলার প্রধান আসামি মিজান চেয়ারম্যান জেলার বিএনপি নেতাদের কাছে বাহবা পেতে তার এলাকা নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে অন্তত দশ ট্রাক মানুষ ভাড়া করে আনেন। শোভাযাত্রা শেষে শহরের থানা মোড় চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ওই মিজান চেয়ারম্যানের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এসময় তার সাথে নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড় এলাকার প্রস্তাবিত দাউধারা কাঁটাবন পর্যটন কেন্দ্র এবং হাতির সম্ভাব্য অভয়াশ্রম পরিদর্শনে আসেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পর পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকরা তাকে নানা প্রশ্ন করার প্রতিবাদে স্থানীয় কুখ্যাত ফ্যাসিস্ট দোসর নয়াবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এর নির্দেশে স্থানীয় অবৈধ বালু উত্তোলনকারী ও বন ধ্বংসকারীরা ৫ জন সাংবাদিকের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা গুরুতর আহত হয়। এরপর ২৭ জুন এ ঘটনায় নালিতাবাড়ী থানায় ১৪ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সর্বশেষ ৩জন গ্রেপ্তার হলেও মূল আসামি মিজাম চেয়ারম্যান হাইকোর্ট থেকে জামিন এনে বহাল তবিয়তে এবং এলাকায় ব্যাপক শোডাউন করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
বিএনপি’র এই আনন্দ শোভাযাত্রায় কুখ্যাত ফ্যাসিস্ট সহযোগী মিজাম চেয়ারম্যান কিভাবে এলেন এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রভাষক মামুনুর রশিদ পলাশকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, বিএনপির আহবায়, যুগ্ম আহ্ববায়ক সহ ৪১ সদস্যের কমিটি ও শেরপুরের সকল ইউনিট এই আনন্দ মিছিলে আমন্ত্রিত, ওই চেয়ারম্যান আমন্ত্রিত কেউ না। অতি উৎসাহী হয়ে কেউ আসলে আমাদের কিছু করার নেই।
Leave a Reply