নিউজ ডেস্ক
দেশের অন্যতম সিনিয়র সাংবাদিক ও কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান কে ‘বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কাউন্সিল’র সম্মানীত উপদেষ্টা নির্বাচিত করা হয়েছে। তিনি বিগত ৪০ বছর যাবৎ সাংবাদিকতা ও সমাজ সেবা পেশার সাথে জড়িত থেকে দেশ ও সমাজের অনাচার পাপাচার আর দুর্নীতি-দুর্বৃত্তপনার বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে লড়াই করছেন।
সাংবাদিক ও বিপন্ন মানুষের পক্ষে লড়াই করতে গিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখিও হয়েছেন বার বার। যার জন্য দেশ ও বিশ্বের সচেতন সাংবাদিক ও অধিকার বঞ্চিত সাধারণ মানুষদের কাছে তিনি অত্যন্ত প্রিয়জন হয়ে উঠেছেন। খ্যাতিসহ উপাধিও পেয়েছেন কলমযোদ্ধা হিসেবে- ফলে ঢাকাসহ দেশ ও বিশ্বব্যাপী বাংলা সংবাদপত্রসমূহ তাঁকে তাঁর নামে আগে ‘সিনিয়র সাংবাদিক ও কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান’ উল্লেখেখ করে প্রিন্ট করে থাকেন।
সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা বৃদ্ধিসহ তাঁদের রাষ্ট্রীয় সম্মান ও সনম্মানজনক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমানের সিনিয়র সাংবাদিক ও কলমযোদ্ধা লিয়াকত খান যুক্ত হয়েছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাথে। ৪০ বছরের এই পুরোনো সংগঠনের তিনি প্রতিষ্ঠাকালিন সদস্য- সদস্য নং-১৫২। বর্তমানে এই প্রাচীন সাংবাদিক সংগঠনের তিনি কেন্দ্রীয় স্থায়ী পরিষদের সদস্য সচিব।
সৎ, নির্ভীক, দায়িত্বশীল ও সদাহাস্যোজ্জ্বল সিনিয়র সাংবাদিক ও কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান দেশকে ভালোবাসেন নিজের মত করে। দেশ ও দেশের মানুষ কে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন রাজনীতি সচেতন হওয়ার পর থেকে। সে লক্ষ্যে (নির্বাচিত হওয়ার জন্য নয়) সিলেট-১ নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য পদে যুব বয়সে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। নির্বাচনকালে তাঁর লিখিত বক্তব্যসহ বিভিন্ন পথসভায় দেওয়া বক্তব্য এখনও অনেক সচেতন মানুষের মনে আছে বলে জানা যায় (লিখিত বক্তব্যটি ‘কলমযোদ্ধার নির্বাচিত কলাম’ শিরোনামে প্রকাশিতব্য বইতে থাকছে বলে জানা যায়)।
জাতীয় সংসদের সিলেট-১ নির্বাচনী এলাকাভূক্ত সিলেট সদর উপজেলার তৎকালিন বহুল আলোচিত চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ছয়ফুর রহমান এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এম. তৈয়বুর রহমান তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। এমনকি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তাঁর (কলমযোদ্ধার) পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে প্রচাপত্রও বিলি করেছিলেন। অবশ্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এম. তৈয়বুর রহমান পরে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে চলে গিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, সিনিয়ার সাংবাদিক ও কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান সাংবাদিকতা, লেখালেখি ও সমাজসেবার পাশাপাশি প্রথমে ‘সিলেট গণআন্দোলন পরিষদ’ নামে সিলেট অঞ্চল ভিত্তিক একটি সার্বজনীন অরাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। পরে ১৯৮৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকায় ‘জাগো বাংলাদেশ’ নামে গড়ে তুলেছিলেন জাতীয় ভিত্তিক অরাজনৈতিক সার্বজনীন সামাজিক সংগঠন- তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান।
২০০২ সালে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাব্রতী সংগঠন ‘দি হাঙ্গার প্রজেক্ট’ (যার কান্ট্রি ডিরেক্টর ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ‘সুজন’ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার) এর স্বেচ্ছাব্রতী প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে যুব ও উদ্যোগতা প্রশিক্ষক হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। পাশাপাশি ‘আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ফোরাম-লন্ডন’ এর সম্মানীত উপদেষ্টা, ‘বাংলাদেশ সাপোর্টার্স ফোরাম’ এর সিনিয়র উপদেষ্টা, আন্তর্জাতিক প্রবাসী মানবাধিকার ফাউণ্ডেশন এর কেন্দ্রীয় স্থায়ী পরিষদের সদস্য, ‘কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটস ওয়ার্ল্ডের সম্মানীত উপদেষ্টাও তিনি।
তা’ছাড়া সিনিয়র সাংবাদিক ও কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান বৃহত্তর বরিশালের অধিবাসী জনাব সাইফুল ইসলাম সবুজ এর মালিকানাধীন ঢাকার গুলশান বারিধারা থেকে (বর্তমানে বনানী থেকে) নিয়মিত প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক ‘পুনরুত্থান’ এর সাবেক প্রধান সম্পাদক। সিলেট-১ নির্বাচনী এলাকা থেকে দুইবার সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী (৯১-৯৬) হয়ে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। বর্তমানে ‘বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ’ এর সাথে যুক্ত থেকে ‘হিংসামুক্ত বিশ্বসম্প্রীতি দিবস’ ও ‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ দিবস’ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন।
আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করি।
ধন্যবাদান্তে-
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক
ও মানবাধিকার কাউন্সিল, ঢাকা।
Leave a Reply