1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
সিসি ক্যামেরার আওতাবিহীন বেনাপোল বন্দর - dainikbijoyerbani.com
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন
ad

সিসি ক্যামেরার আওতাবিহীন বেনাপোল বন্দর

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০২০
  • ৫৮৮ Time View

মোঃ নজরুল ইসলাম। বিশেষ প্রতিনিধি। স্থলপথে আমদানি, রফতানি বাণিজ্য ও রাজস্ব আয়ের দিক দিয়ে বেনাপোল বন্দর সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বন্দর প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছরেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আসেনি বন্দরটি। ফলে বন্দরে আমদানি পণ্য চুরি, দুর্বৃত্তদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বার বার ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডসহ নানান অপ্রতিকর ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এপথে আমদানিতে নিরউৎসাহিত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বলছেন, সিসি ক্যামেরা খুব জরুরি হয়ে দাড়ালেও বন্দর কর্তৃপক্ষের গরিমশিতে তা আজও থমকে রয়েছে। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, খুব দ্রুত সিসি ক্যামেরা স্থাপন হবে। এতে বন্দরের নিরাপত্তা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।

জানা যায়, ১৯৭২ সাল থেকে বেনাপোল বন্দরের সাথে ভারতের আমদানি, রফতানি বাণিজ্যক যাত্রা শুরু। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এপথে প্রথম থেকে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। দেশে স্থলপথে যে আমদানি,রফতানি বাণিজ্য হয় তার ৬০ শতাংশ হয়ে থাকে শুধু বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রফতানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। যা থেকে সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আমদানি পণ্য ও কর্মকর্তা, কর্মীচারীদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ হলেও আজ পর্যন্ত এবন্দরটিতে স্থাপন হয়নি।

নানা অজুহাতে পার করছে ৪৮ বছর। ফলে বন্দর অভ্যন্তরে শুল্কফাঁকি দিয়ে আমদানি পণ্য পাচার, নাশকতামূলক বন্দরের পণ্যগারে অগ্নিকাণ্ড, ককটেল বিস্ফোরণ এমন কি নিরাপত্তা কর্মী হত্যার মতও ঘটনা ঘটছে। তবে সিসি ক্যামেরা না থাকায় এসব ঘটনার রহস্য উৎঘাটন ও অভিযুক্তরা সব সময় থাকছে ধরা ছোওয়ার বাইরে। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসান ও আতঙ্কের মধ্যে পড়ে এবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, বন্দরে বারবার আনুন আর ককটেল বিষেস্ফারণের ঘটনা ঘটলে ব্যবসায়ীরা কিভাবে এ বন্দর দিয়ে আমদানি, রফতানি করবেন? আশ্বাসে থমকে রয়েছে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ।

রফতানি কারক তৌহিদুজ্জামান জানান, ডিজিটাল দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরে সিসি ক্যামেরা থাকবেনা এটা হয়না। সিসি ক্যামেরা যেমন আমদানি পণ্যের নিরাপত্তা বাড়ায় তেমনি সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরও নিরাপত্তা দেয়।

শার্শা উপজেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান লিটু জানান, বর্তমান যুগে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরার ব্যবহার। কিন্তু যে বন্দরে ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার কোটি টাকার আমদানি, রফতানি পণ্য রয়েছে সে বন্দরে সিসি ক্যামেরা লাগাতে বন্দরের কেন এত গরিমশি বুঝতে পারছি না।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, সিসি ক্যামেরা এখন কোন প্রসাধনী জিনিস না। বন্দর কর্তৃপক্ষ বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও এখন পর্যন্ত এবন্দরে সিসি ক্যামেরা লাগেনি। ফলে পণ্য চুরি, অগ্নিকাণ্ডসহ নানান ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।

ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট কমিটির চেয়ারমান মতিয়ার রহমান জানান, নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা লাগাতে বন্দর কর্তৃপক্ষের গরিমশি বুঝিনা। এটা সরকারকে দেখতে হবে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, খুব দ্রুত বন্দরে সিসি ক্যামেরা বসবে। এতে বন্দরের যেমন নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে তেমনি কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।

উল্লেখ্য, গত এক যুগে বেনাপোল বন্দরে বড় ধরনের ৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক দেড় হাজার কোটি টাকার পণ্য পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বন্দর পণ্যগার থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে বন্দরে সিসি ক্যামেরা না থাকায় অগ্নিকাণ্ডের কোন রহস্য বা দুর্বৃত্তরা শনাক্ত হয়নি।অতি তাড়াতাড়ি সিসি ক্যামেরা লাগানো উচিত বলে মনে করেন আমদানিকারীরা।

বিশেষ  প্রতিনিধি ০১৭১২৯৪৭৮৭১

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি