সোহেল মিয়া,সুনামগঞ্জ থেকেঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউপিতে কিশোর মামুন (১০) হত্যা মামলার ২নং আসামী আমজদ আলীর চাচা লন্ডন প্রবাসী সানুর মিয়ার বিরুদ্ধে মামুন হত্যা মামলার বাদী রুপিয়া বেগমকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকির অভিযোগ।
গত ২১(জুলাই) বুধবার ঈদের দিন সকালে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের বালিউরা বাজারস্থ আশ্রব আলীর হোটেলের রান্নাঘর থেকে কিশোর মামুন (১০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মামুন উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গোজাউড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের পুত্র। বিল্লাল হোসেন বালিউড়া বাজারের একটি ভাড়াটে ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাসসহ দীর্ঘদিন ধরে কাঁচামালের ব্যবসা করে আসছেন। নিখোঁজের দু’দিন পর ঈদের দিন বুধবার সকালে ওই হোটেলের (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) জয়তুন নেছা দু’দিন বন্ধ থাকা হোটেলের দরজার তালা খুলে রান্নাঘর পরিস্কার করতে গিয়ে মেঝেতে মামুনের মৃত দেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে স্থানীয়দের অবগত করা হলে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
ঘটনার পর হত্যা মামলা করার পর থেকে বাদী রুপিয়া বেগমকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন বলে এমন অভিযোগ করেন মামলার বাদী রুপিয়া বেগম।
এ বিষয়ে বালিউড়া বাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি ডাঃ ফজলুর রহমান বলেন, ঈদের দিনে ১০ বছর বয়সী মামুনের মৃত দেহ পাওয়া গিয়েছে সত্য। এনিয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা ও হয়েছে। তবে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই।
অভিযুক্ত লন্ডন প্রবাসী শানুর মিয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এমন অভিযোগ সত্যি নয়। আমার বিরুদ্ধে একটি কুচক্র মহল মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেব দুলাল ধর বলেন, আমরা মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগে পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply