1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
হরিণের মাংস উদ্ধারে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় ৩ বনপ্রহরী আহত - dainikbijoyerbani.com
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৭ অপরাহ্ন
ad

হরিণের মাংস উদ্ধারে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় ৩ বনপ্রহরী আহত

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৩৪ Time View

বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ

মোংলার সুন্দরবন সংলগ্ন জিউধরা এলাকায় একটি বাড়ীতে হরিণের মাংস উদ্ধারে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন তিনজন বনপ্রহরী। এ সময় দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে বনপ্রহরীদের কাছ থেকে একটি চাইনিজ রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে দুই টুকরা করে ফেলে এবং ৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় আত্মরক্ষার্থে বনবিভাগ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। তাতেও তাদের রক্ষা হয়নি। তারপরও সেখানে তাদেরকে দেড় ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে দুর্বৃত্তরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে আহত তিন বনপ্রহরীর মধ্যে মাসুদ রানা ও শান্ত শেখকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এছাড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় জাহিদুল ইসলামকে।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধরা ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হরিণ শিকার করে মাংস লুকিয়ে রাখা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে জিউধরা গ্রামের তালুকদার বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকারী জিউধরা ও আমুরবুনিয়া ক্যাম্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তালুকদার বাড়ীতে ঢুকলেই বাড়ীর মালিক দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলে মুন্না (৪২) দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বনবিভাগের সদস্যরা ধাওয়া করে মুন্নাকে ধরে ফেলে। মুন্নাকে ধরতে না ধরতেই ওই বাড়ীসহ আশপাশের লোকজন এসে মুন্না ছিনিয়ে নিতে বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রথমে বনবিভাগের ষ্টাফদের মারধর করে মুন্নাকে ছিনিয়ে নেয়। এতে বনবিভাগের তিন ষ্টাফ আহত হন। এ সময় বনবিভাগ আত্মরক্ষার্থে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছুড়ে। তারপরেও মুন্নার নেতৃত্বে তার আপন ভাই রিয়াদ (৩৮)সহ ১০/১২ জন লোক মিলে বনপ্রহরীদের কাছে থাকা একটি চাইনিজ রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে আঁচড়িয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এতে রাইফেলটি ভেঙ্গে দুই টুকরা হয়ে যায়। রাইফেল ভেঙ্গে তাতে থাকা ৫ রাউন্ড গুলিও ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। মুন্না গংরা শুধু
বনবিভাগের স্টাফদের মারধর, অস্ত্র ভাঙ্গা ও গুলি ছিনিয়ে ক্ষ্যান্ত হয়নি। এরপরও বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে প্রায় দেড় থেকে দুইশত লোক নিয়ে দেড় ঘন্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন। বন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, মুন্না ও তার পিতা দেলোয়ার সুন্দরবনের চিহ্নিত চোরা হরিণ শিকারী। তাদের বিরুদ্ধে বন অপরাধের একাধিক মামলাও রয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ এনামুল হক বলেন, হরিণের মাংস উদ্ধার করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় আমাদের তিনজন বনপ্রহরী আহত হয়েছেন। এছাড়া একটি রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলার পাশাপাশি ৫ রাউন্ড গুলি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি