1. [email protected] : দৈনিক বিজয়ের বানী : দৈনিক বিজয়ের বানী
  2. [email protected] : Hasan :
  3. [email protected] : dev : dev
১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস কেন?? - dainikbijoyerbani.com
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
ad

১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস কেন??

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ, ২০২১
  • ৯২ Time View

মোঃ ফেরদৌস মোল্লা পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধঃ ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। জাতীয়ভাবে দিনটিতে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার কারণেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম মেয়াদে (১৯৯৬-২০০১) খ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে ১৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে। প্রথমে দিনটিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করলেও পরবর্তীতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বছরে একাধিকবার বিভিন্ন নামে শিশু দিবস পালন করা হয়। এর পাশাপাশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলো নিজেদের মতো করে পালন করে জাতীয় শিশু দিবস। আন্তর্জাতিকভাবে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন করা হয়। জাতিসংষের ঘোষণা অনুযায়ী ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস হিসেবে পালন হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক শিশু দিবস পালিত হয় ১ জুন। এছাড়া ১১ অক্টোবর সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালিত হয়। শিশুদের জন্য এরকম আরও কয়েকটি দিবস রয়েছে। এর বাইরে বিশ্বের দেশগুলো তাদের গুরুত্বপূর্ণ কোন দিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের জুনের দ্বিতীয় রবিবার পালন করা হয় শিশু দিবস। আবার পাকিস্তানে শিশু দিবস হল ১ জুলাই, ৪ এপ্রিল শিশু দিবস উদযাপিত হয় চিনে। অন্যদিকে ব্রিটেনে শিশু দিবস পালন করা হয় ৩০ অগাস্ট, জাপানে ৫ মে, পশ্চিম জার্মানিতে ২০ সেপ্টেম্বর। তবে সব দেশেই শিশু দিবস পালনের উদ্দেশ্য একটাই, দেশের শিশুদের অধিকার ও তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ফের একবার সচেতনতার বার্তা দেওয়া।

ভারতে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয় ১৪ নভেম্বর। দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল ও শিশুদের প্রিয় চাচা নেহেরুর জন্মদিন ১৪ নভেম্বরকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করে ১৯৬৭ সাল থেকে পালন করে আসছে।

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বা বিশ্ব শিশু দিবস পালন হলেও জাতীয় শিশু দিবস ছিল না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রীয় ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করে ওই সময়কার মন্ত্রিসভা। ১৯৯৭ সাল থেকেই দিবসটি পালন শুরু হয়। এ দিনটিকে সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করা হয়।

১৭ মার্চকে শিশু দিবস ঘোষণার কারণ হিসেবে জানা গেছে, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর দরদ ছিল অপরিসীম। তাই তার জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। অবশ্য ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হারানোর পর তৎকালীন বিএনপি সরকার শিশু দিবস পালন এবং সরকারি ছুটি বাতিল করে। ফলে ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দিবসটি পালিত হয়নি। এসময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিন ১৯ জানুয়ারিকে বিএনপি সরকার শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন শুরু করে। পরবর্তীতে নবম জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে আবারও প্রতিবছর জাতীয় পর্যায় বড় আয়োজনের মাধ্যমেই এ দিবসকে পালন করে আসছে।

১৭ মার্চকে শিশু দিবস পালনে ভারত থেকে প্রভাবিত হওয়ার বিষয়টি হতে পারে বলে মনে করা হয়। অবশ্য এদিনকে কেন শিশু দিবস ঘোষণা করে পালন হয় জানতে চাইলে ওই সময়কার (১৯৯৬-২০০১) মন্ত্রিসভার সদস্য ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাতির পিতা জন্মদিন পালন করতেন না। তিনি শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন। তার জন্মদিনটাতে তিনি শিশুদের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করতেন। ওইদিন শিশুরা দল বেঁধে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে যেত। এসব সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে তার জন্মদিনটাতে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।’

ad

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
ad
ad
© All rights reserved 2022
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি