জাকির হোসেন সুমন সিলেট ব্যুরোঃ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাঙ্গামাটির আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আহসান হাবীবের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বৃহত্তর জৈন্তা রিপোটার্স ক্লাবের
সভাপতি মো: আবু তালহা তোফায়েল ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সুমন শোক প্রকাশ করেন।
রিপোর্টার্স ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ কামাল হোসাইন,সিটিজি ক্রাইম টিভি ও সিটিজি নিউজ,সহ সভাপতি হাসান মোহাম্মদ বদরুল – দৈনিক বিজয়ের বাণী,যুগ্ম সম্পাদক, সুহেল আহমেদ, দৈনিক সিলেটের দিনরাত, সহ সম্পাদক, ফাইম আহমেদ – সার্চ টাইম, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাছির আহমেদ, সিটিজি ক্রাইম টিভি ও সিটিজি নিউজ,প্রচার সম্পাদক, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,সিটিজি ক্রাইম টিভি ও সিটিজি নিউজ, সহ প্রচার সম্পাদক, রুবেল আহমেদ, দৈনিক অপরাধ সন্ধানী,তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক, মোঃ আব্দুল্লাহ, কার্যকরী সদস্য আরিফুল ইসলাম,আশিক আহমেদ, সেলিম আহমেদ, সুহেব আহমেদ, সেলিম উদ্দীন।
মরহুম মো. আহসান হাবিবের মত একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তার মৃত্যুতে সিলেটের বৃহত্তর জৈন্তা রিপোটার্স ক্লাব গভীরভাবে শোকাহত। দেশের সেবায় তার এমন আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে সাংবাদিকদের মাঝে।
বৃহত্তর জৈন্তা রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় আরও বলা হয়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান হাবিব করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আত্মবিসর্জনকারী এই সম্মুখযোদ্ধা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত জনগণের সুরক্ষা ও দেশমাতৃকার সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। ৩৩তম বিসিএস এর মাধ্যমে তিনি সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। ২০২১ সালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
মেধাবী এই কর্মকর্তা চাকরি জীবনে চট্টগ্রাম রেঞ্জের চাঁদপুর জেলার মতলব সার্কেলে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সর্বশেষ তিনি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১ এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,পিতা-মাতা,ভাই-বোনসহ আত্নীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। পুলিশের এ কর্মকর্তা ১৯৮৯ সালে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার ৮নং মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ মরহুমের বসন্তপুর গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তার গ্রামের বাড়িতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মহামারীকালে জনগণকে সুরক্ষা সেবা দিতে গিয়ে এ পর্যন্ত ১০১ জন পুলিশ সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন।
Leave a Reply