হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
হ্যারিকেন হেনরি আছড়ে পড়ার কয়েকদিনের মাথায় এবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল গতিতে আঘাত হেনেছে হ্যারিকেন আইদা। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ আগস্ট) দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য লুইজিয়ানায় আছড়ে পড়ে এই হ্যারিকেন।
প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়া এই হ্যারিকেনের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫০ মাইল (২৪০ কিলোমিটার)। সোমবার (৩০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হ্যারিকেন আইদার আঘাতের পর নিউ অরলিন্স শহর পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। সেখানে এখন কেবল জেনারেটর কাজ করছে। এছাড়া পূর্বাভাস সত্ত্বেও যেসব মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাননি, তাদেরকে নিজের বাড়িতেই নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, হ্যারিকেন আইদা আঘাত হানার পর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ এখন বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
এছাড়া হ্যারিকেন আইদা লুইজিয়ানায় বন্যা প্রতিরোধে নির্মিত অবকাঠামোরও পরীক্ষা নেবে। ২০০৫ সালে হ্যারিকেন ক্যাটরিনার আঘাতের পর এসব বাধ ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছিল। ভয়ঙ্কর সেই ঝড়ে সেসময় ১ হাজার ৮০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।
নিউ অরলিন্স শহরের বাসিন্দা তানইয়া গালিভার গ্রাসিয়া সেন্টার অব ডিজাস্টার ফিলানথ্রোপি নামক একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। বিবিসিকে তিনি বলছেন, ‘আমি খুবই আতঙ্কিত। আমার ধারণার চেয়েও শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। বহু বছর ধরে দুর্যোগের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। কিন্তু হ্যারিকেন আইদার আঘাতের সময় আমার অভিজ্ঞতা একেবারে ভিন্ন।’ এদিকে এক টুইট বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দফতর এনডব্লিউএস নিউ অরলিন্সের বাসিন্দাদেরকে নিরাপদে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েছে। টুইটে বলা হয়েছে, ‘বাড়ির ভেতরের কোনো একটি ঘরে অবস্থান করুন। অথবা এমন ছোট ঘরে থাকুন যেখানে জানালা নেই। আপাতত এই সময়ে সেখানেই অবস্থান করুন ।