কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়ন এর ৭নং ওয়ার্ডের রুপপতি এলাকার আজগর আলী মার্কেটের পূর্ব পাশে নির্জন পাহাড়ে বসবাস করে এক রোহিঙ্গা নারী।জানা যায় গত ১৬ই জুন ২০২৪ ইংরেজি রোজ রবিবার প্রবাসী মোঃ ছিদ্দিকের পুত্র ইমামের ডইল আল করিম ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্র নেজাম উদ্দিন(১২) কে অপহরণ করে। অপহৃত নেজাম উদ্দিন এর মাতা সাবিনা ইয়াসমিন(৩৮) বিভিন্ন জায়গায় খুঁজাখুঁজির পর সে জানতে পারে যে, তার ছেলেকে তার প্রতিবেশি রোহিঙ্গা নারী ফাতেমা(৪০) অপহরণ করছে।জানার পর গত ২০ই জুন ২০২৪ ইং রোজ রবিবার সকাল আনুমানিক ১১.০০টার সময় নেজাম উদ্দিন(১২) এর মা সাবিনা ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে গেলে ফাতেমা(৪০) এবং তার বাবা রোহিঙ্গা নুরুল হক(৬০), রোহিঙ্গা সাদেকা(১৯) ও তার সহযোগী আরও ৪/৫ জন নারী পুরুষ মিলে অপহৃত নেজাম উদ্দিন এর মা সাবিনা ইয়াসমিনকে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক নির্যাতন করেন।এক পর্যায়ে সাবিনা ইয়াসমিন চিৎকার করলে তার চিৎকার শুনে ফাতেমার প্রতিবেশী আতিকুল্লাহ সহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।পরে ৯৯৯ এ কল করেন তারা। পরবর্তীতে পুলিশি সহায়তায় সাবিনা ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার ছেলে নেজাম উদ্দিন(১২) এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
নিখোঁজ নেজাম উদ্দিন এর মা সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে উখিয়া থানায় রোহিঙ্গা নুরুল হক(৬০) ও রোহিঙ্গা ফাতেমা(৪০)রোহিঙ্গা সাদেকা(১৯)সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় এক অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আতিক উল্লাহ বলেন রোহিঙ্গা ফাতেমার বাড়িতে মহিলার চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে দেখি যে, একটা মহিলাকে হাত পা-বেঁধে মাঠিতে ফেলে তার বাবা, বোন ও ৪/৫ জন মিলে কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতেছে।এ-সময় আমি তাঁকে উদ্ধার করতে চাইলে তখন তারা আমার উপর হামলার চেষ্টা করে। তখন আমি নিজেই আমার অন্য প্রতিবেশীদের ডাকি ও ৯৯৯ এ কল করি পুলিশের সহায়তায় ভিকটিম সাবিনাকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করি।
জালিয়া পালং ইউনিয়ন এর স্থানীয় রুপপতি এলাকার বাসিন্দা কমিউনিটি পুলিশের সদস্য আব্দুল হকের পুত্র লুৎফর রহমান জানান এই রোহিঙ্গা নারী ফাতেমা(৪০) ও তার বাবা এবং আরও অন্যান্য রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় এই অঞ্চলে দীর্ঘ দিন ধরে একের পর এক অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।শোনা যায় সে ও তার বাবা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিষিদ্ধ সংঘটন আল ইয়াকিনের সাথে যোগ স্বাজসে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। যা স্থানীয়দের দৃষ্টিগোছর হলে সাধারণ মানুষদের অপহরণ ও হত্যার হুমকি দেয়।তার বাড়ি গহীন পাহাড়ের মধ্যে হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি পড়েনি তার এসব কর্মকাণ্ডে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে এই রোহিঙ্গা নারী ফাতেমা (৪০) তার স্বামীঃ মাহমুদুল হক মালয়েশিয়া প্রবাসী সে স্থানীয় ছেলে তাই সে এই এলাকায় সহজে চলাচল করে এবং তার কর্মকাণ্ডের প্রতি তেমন কেউ নজর দেয় না এই ঘটনার পর থেকে এক এক করে তার সব কর্মকাণ্ড বেরিয়ে আসছে, সে মানব পাচার,মাদক পাচার, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিষিদ্ধ সংঘঠন আল ইয়াকিন এর ইন্টারনাল সহযোগী হিসেবে কাজ করে।
স্থানীয় জনসাধারণের দাবী আমরা এই ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি সাথে অপহৃত শিশু নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।