মির্জা সাইদুল ইসলাম (সাঈদ)
স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক বিজয়ের বানী।
টাংগাইলের সখিপুর থানার এসআই নাজিম উদ্দীনের নেতৃত্বে এএসআই রুবেল সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আজ শনিবার ভোরে মৌলভী বাজার জেলার কুলাউড়া পৌর এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে ৪০টি শুকর উদ্ধার করে সখিপুর থানায় নিয়ে আসেন। শুকরের মালিক পরেশ চন্দ্র দাস ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায় গত (১১জুলাই) ভোর রাতে উপজেলার আন্দি এলাকায় পরেশে দাসের ৪জন রসখালের মাধ্যমে পালনকৃত ১০৯টি শুকর থেকে ডাকাতদল রাখালদের হাত,পা,মুখ বেঁধে রেখে ৫১টি শুকর ডাকাতি করে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে পরেশ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে সখিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ০৪.ধারা -৩৯৪ তারিখ-১১/০৭/২০২১ইং-)
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখিপুর থানার এস আই নাজিম উদ্দিন ১৫ জুলাই সন্দেহাতীত আসামী নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার কুয়ারপুর গ্রামের আলী আজগর এর ছেলে আকবর হোসেন ওরফে রাসেল (২৩) কে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতে সখিপুর থানা পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামী রাসেলের তথ্যানুযায়ী তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এসআই নাজিমউদ্দিনের নেতৃত্বে সখিপুর থানার একটি চৌকষ টিম কুলাউড়া থানার সহযোগিতায় মৌলভী বাজার জেলার কুলাউড়া পৌর এলাকার ডাস্টবিন হতে ৪০টি শুকর উদ্ধার করে সখিপুর থানায় নিয়ে আসেন। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সখিপুর থানা পুলিশ থানা ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মামলার তথ্য বিবরণী তুলে ধরেন।
এসময় সখিপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ওমর ফারুক,এসআই নাজিম উদ্দিন,এসআই কবির হোসেন,এসআই রবিউলসহ থানার স্টাফ উপস্থিত ছিলেন। শুকরের মালিক পরেশ চন্দ্র দাস বলেন ৫১টি শুকরের মূল্য ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। যার মধ্যে সবচেয়ে ছোটটির মূল্য-৭ হাজার এবং বড়টির মূল্য ২৫ হাজার টাকা।
সখিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.কে.সাইদুল হক ভুইয়া বলেন- গ্রেফতারকৃত আসামী মৌলভী বাজার জেলার কুলাউড়া পৌর এলাকার ডাস্টবিন হতে ৪০টি শুকর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি, মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।