সৌরভ মজুমদার ,ছাগলনাইয়া (ফেনী )প্রতিনিধি:-
আজ ৬ই ডিসেম্বর সকালে দীর্ঘ ছয় বছর পর ফেনী প্রেসক্লাবে তালা খুলেছে। ফেনী প্রেস ক্লাবের সকল সদস্য নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে এক হন জেলার কর্মরত পেশাদার সাংবাদিকরা।
আজ রবিবার (০৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে প্রেস ক্লাবের সকল সাংবাদিকরা এক হয়ে ক্লাবে প্রবেশ করে।এরপর সাংবাদিকরা শহরের জেল রোড়স্থ শহীদ স্মৃতিস্তম্বে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এবং প্রেসক্লাবের ঐক্যের ব্যাপারে শপথ বাক্য পাঠ করেন।
এসময় সাংবাদিকরা বলেন, জেলার ইতিবাচক সাংবাদিকতাকে টিকিয়ে রাখার প্রশ্নে প্রেসক্লাবের তালা খোলার বিকল্প ছিলোনা।তারা জানান, দীর্ঘদিন ফেনী প্রেসক্লাবটি বন্ধ ছিল।পেশাদার সাংবাদিকদের প্রাণের এ যায়গাটি বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল সাংবাদিকতা। সাংবাদিকদের মধ্যে বাড়ছিলো অনৈক্য। বিবাদমান এ অচলাবস্থা দূর করার প্রয়াসে ফেনীর সাংবাদিকরা এক হয়েছে ঐক্যের প্রশ্নে। যার ধারাবাহিকতায় ক্লাবে প্রবেশ করেছে সাংবাদিকরা। এখানে প্রতিটি টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি, প্রথম কাতারের জাতীয় দৈনিকের প্রতিনিধি, ফেনী থেকে প্রকাশিত সকল দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদ ও নির্বাহী সম্পাদকরা আছেন।
রবিবার সকালে জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে ক্লাবের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করেন। এরপর এক এক করে জেলার কর্মরত অন্য সাংবাদিকরাও ক্লাবে প্রবেশ করে। এবং ক্লাব ধুয়ে মুছে নিজেদের বসার উপযোগী করেন। পরে বিভক্ত ৪টি কমিটির সদস্যরা নিজ নিজ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করেন।
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দও প্রেসক্লাবের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে বলেন, 'আমরা জেলার সকল সাংবাদিকরা চাই জেলার প্রাচীন এই সাংবাদিক সংগঠনটি প্রাণ ফিরে পাক। বিবেদ ভুলে সকল সাংবাদিকরা এক ছাদের নিচে আসুক৷ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকরা ফেরায় ফেনী সাংবাদিকতা নতুন করে প্রাণ সঞ্চার করবে। পেশাগত সাংবাদিকদের অনৈক্যের কারণে অপেশাদাররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। আশা করব সে অবস্থার অবশান ঘটবে।
উল্লেখ্য ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর ক্লাবটিকে সীলগালা করে দেয় প্রশাসন। ক্লবের দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদের কারণে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় জেলা প্রশাসন এ সীদ্ধান্ত নিয়েছিলো। এরপর অবস্থার উন্নতি হলে খুলে দেয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩ মে আবার সীলগালা করেছিলো।