আবীর হাসান স্বাধীন কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া দখল দারিত্বের কবলে পড়েছে থানাপাড়া থেকে ঘোড়ার ঘাট পর্যন্ত স্বেচ্চাচারিভাবে নদীতীরে দোকান পাঠ, খামার এমনকি ঘর বাড়ী ও নির্মাণ করা হয়েছে নদীর পাসে,এতে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে কুষ্টিয়া গড়াই নদীর। জানা গেছে, ওই প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে দখল রোধে করণীয় বিষয়েও কয়েক দফা সুপারিশ করা হয়েছে। বিদ্যমান গড়াই নদীর কোল ঘেঁষে নানান রকম সাইনবোর্ড দিয়ে বসানো হচ্ছে স্থাপনা এবং ঘর, দোকান , এসব উদ্ধারে জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে কুষ্টিয়া পৌরসভা এবং উপজেলা।
গড়াই নদীর পাসে বিভিন্ন অংশ দখল করেছে ৫০০ বেশি ব্যক্তি মাদক ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। তবে নদী দখলদারদের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা মেলে আসলে সত্য পদক্ষেপ নেয়ার ইচ্ছে থাকলেও হয়ে উঠছে না পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
কুষ্টিয়ার গড়াই নদী, বাধ ও খালগুলোর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ এবং দূষণবিরোধী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি উচ্ছেদ অভিযানের পর আবারও যাতে দখলের প্রক্রিয়া শুরু না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দখলদাররা এতটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠে যে, তারা নদীতীরের সীমানা পিলার পর্যন্ত উপড়ে ফেলে দেয়।
এবং বিভিন্ন সাইনবোর্ড দিয়ে বসানো হচ্ছে ঘর এতে সৌন্দর্য হারাতে বসেছে কুষ্টিয়া গড়াই নদী।
এই দখলদারি বন্ধ করতে অনেকবার পদক্ষেপ নিয়েছে এলাকাবাসী সক্ষম হতে না পেরে অনেকবার রক্তাক্ত হচ্ছে সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে।
এর মধ্যে বাপ্পি নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন আমাদের এলাকায় এ বিষয়ে কিছু দিন আগে কথা বলতে গিয়ে আমার ফ্যামিলির চারজন রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে বেডে পড়ে ছিলো।
এই দখলদার সন্ত্রাসীর উচ্চ পদের লোকদের সঙ্গে সম্পর্ক এর ফলে কিছু করা সম্ভব হয় না এলাকাবাসী।
নদীর কিছু কিছু জায়গায় সন্ত্রাসীরা বালু মহাল তৈরি করে পুরো চর দখল করে নিয়েছে বলে এক সূত্রে প্রকাশ পাই। প্রাপ্ত তথ্য মতে, সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের চক্রের সহায়তায় নদীর কূলে ও চরে নারী পুরুষ দখলে মেতেছে।নানামূখী অব্যবস্থাপনার কারণে পানি প্রবাহ হারানো নদীগুলো এভাবে দখলে চলে যাচ্ছে। অবৈধ দখলে চলে যাওয়া গড়াই নদী উদ্ধারে সরকারের রাজস্ব বিভাগের তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবী এলাকাবাসীর।
আসলেই দুই সন্ত্রাসী বাহিনী কারা এবং এদের মাদকতা কারা কুষ্টিয়া গড়াই নদীর সৌন্দর্য রক্ষা বাঁধ দিয়ে নষ্ট মেতে উঠছে জমি দখলে।