বায়জিদ হোসেন, মোংলাঃ
বাগেরহাটের রামপালে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের শীতার্তদের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করেন স্থানীয় সাংসদ (মোংলা-রামপাল) ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলহাজ্ব বেগম হাবিবুন নাহার। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে সদর ইউনিয়নের দেড়শ পরিবারের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করেন তিনি। পরে উজলকুড়, বাঁশতলী, বাইনতলা, পেড়িখালী ও ভোজপাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদে কম্বল বিতরন করেন উপমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৯শ মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপমন্ত্রী আলহাজ্ব বেগম হাবিবুন নাহারের সাথে ছিলেন রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হক লিপন, হোসনেয়ারা মিলি, আওয়ামী নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বরেরা। এ সময় উপমন্ত্রী বলেন,
একজন মানুষ হয়ে আর একজন অসহায় কর্মক্ষম মানুষের পাশে দাঁড়ানো সকলের নৈতিক দায়িত্ব। আমরা প্রতিটি মানুষ যদি একজন মানুষের পাশে দাঁড়াই তাহলে মানুষ কষ্ট ভোগ করবে না। তাই সমাজের সামর্থ্যবান মানুষ নিজেদের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালে মানুষ একটু হলেও উষ্ণতা পাবে। সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিরা যদি দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরন করেন তাহলে সমাজ থেকে অনেক সংকট কেটে যাবে। অল্প সময়ের মধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আমরা একেবারেই ছোট পরিসরে পরিকল্পনা করেছিলাম। আমরা চেয়েছি অল্প সংখ্যা হলেও শীতবস্ত্র অসহায় কিছু মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। কিন্তু আমরা এই প্রত্তান্ত অঞ্চলের অসহায় দুস্থ মানুষ দের দেখেছি এত শীতের মধ্যেও গায়ে দেওয়ার মতো জামা নেই অনেক বৃদ্ধের। শিশুরা পাতলা জামা গায়ে দিয়ে জড়সড় হয়ে বসে আছে। একটু উষ্ণতা খুঁজতে ব্যাকুল অনেক নারী-পুরুষ। সেই কথা চিন্তা করে আমাদের এ শীতবস্ত্র বিতরণ। উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, বর্তমান সরকার সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। সঠিক ও কার্যকর পদক্ষেপের কারণে মানুষের জীবনমানের অভাবনীয় পরিবর্তন হয়েছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগের মতো বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসে না। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ। ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে সারা দেশে। উন্নয়নের উৎসব চলছে দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে। শিল্প উদ্যোক্তারা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ পেয়ে নতুন নতুন কারখানা স্থাপনে উৎসাহী হচ্ছেন। শিক্ষিত ও দক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান হচ্ছে। দেশে বিদেশি বিনিযোগ বেড়েছে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কয়েক গুণ। এক কথায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোলমডেল। আর এসব সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ইস্পাত কঠিন নেতৃত্ব ও দেশ পরিচালনায় অভাবনীয় দক্ষতা ও বিচক্ষণতার কারণে। এতে সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল হয়েছে।