মোংলা প্রতিনিধিঃ
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অস্ত্রের মুখে মোংলায় এক আ' লীগ নেতার তিন'শ বিঘার একটি চিংড়ি ঘের লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ভোর রাতে উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষরা এসময় আ' লীগ নেতা ঘের মালিক আঃ ছালাম শেখের ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র মোঃ মুরাদ শেখ (৩৫) ও ঘেরের চৌকিদার মোঃ মুতাছিন শেখের (৩০) গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে হাত পা বেঁধে প্রায় ১০০ কেজি বাগদা চিংড়িসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ লুট করে। এ ঘটনায় বাঁশতলা গ্রামের বাসিন্দা সুন্দরবন ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ ছালাম শেখ বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে আঃ ছালাম বলেন, সুন্দরবন ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বর মোঃ ইসরাফিল শেখের অনুসারী মোঃ মনিরুল শেখ (৩৫), মোঃ সালাম ফকির (৪৫), মোঃ খবির শেখ (৩২), মোঃ শামীম ফকির (২৫), মোঃ সাইদ শেখ (২৬), মোঃ ইমরান শেখ (২৮), মোঃ শেরামিন ফকির (২৯), মোঃ রাসেল শেখ (২৭), মোঃ নাহিদ গাজী (৩০), মোঃ মাসুদ শেখ (৩২), মোঃ একলাজ শেখ (২৫), মোঃ দুলাল শেখ (২৬), মোঃ রিকু গাজী (৩০), মোঃ ছউদ খাঁন (৩৩) ও মোঃ হাদী মল্লিক (২৮) দীর্ঘদিন তার চিংড়ি ঘের দখল নেওয়ার পায়তারা করে আসছিল। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ভোরে তার ওই তিন'শ বিঘার চিংড়ি ঘেরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢুকে তার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে ও ঘেরে থাকা চৌকিদারকে অস্ত্রের মুখে হাত পা বেঁধে মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আঃ ছালাম শেখ বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানায় সে। অভিযোগ দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে মোংলা থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সুন্দরবন ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বর) ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মোঃ ইসরাফিল শেখ বলেন, যাদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে তারা সবাই আমার লোক, কিন্তু তারা যে এ ঘটনার সাথে জড়িত তার প্রমান কি?