স্টাফ রিপোর্টার //
বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের নয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি নিয়ে আদালতে মামলা চলাকালীন বির্তকিত নবগঠিত কমিটির সভাপতিকে সংবর্ধনা দিয়েছে শিক্ষকরা। গতকাল রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের একাংশ শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে।
জানা গেছে, ১৮ মার্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে বোর্ড থেকে অনুমোদন দেয় বাস্তহারা দলের উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন মনিরকে।
তার স্ত্রী দিবা সিকদার বলেন, আমার স্বামীকে সভাপতি করায় স্থানীয় একটি পক্ষ চক্রান্ত করে তাকে আওয়ামী লীগের কর্মী প্রচার করে গ্রেফতার করান। গ্রেফতারের পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বোর্ডে আবেদন করেন। বোর্ড কোন ধরণের কারন দর্শাতে চাওয়ার আগেই তাকে সভাপতির পদ থেকে অপসারন করেন। এ নিয়ে আমরা আদালতে কমিটিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২৪ এপ্রিল মামলা করলে আদালত আমলে নিয়ে নবগঠিত কমিটিকে কারন দর্শাতে বলে। আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন থাকলেও গতকাল বিদ্যালয়ে নতুন সভাপতিকে সংবর্ধনা দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করে বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগের কর্মীর স্ত্রী পূর্নিমা সরদারকে সভাপতি করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছিল। আগের সভাপতিকে চক্রান্ত করে অপসারন করেই সাদিক আব্দুল্লাহর কর্মীর স্ত্রীকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নতুন করে আবার কাজ শুরু করেছে। শুধু নতুন সভাপতিকে নয় এলাকার আরো কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী দাওয়াত দিয়ে সভা এনেছিলেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, সভাপতির পদ নিয়ে এখানকার দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। বোর্ড যাকে সভাপতি মনোনয়ন দিবে তাকে নিয়েই আমাকে চলতে হবে। সুতরাং কে আওয়ামী লীগের কর্মীর স্ত্রী আর কে বিএনপির লোক তা আমি বিবেচনা করবো কিভাবে।
Leave a Reply