সাফায়েত খান //
বরিশালের চন্দ্রমোহনে এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে জোরপূর্বক উচ্ছেদ ভাঙচুর চালিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জোরপূর্বক ভাঙচুর ও মারধরে করে জমি দখলের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতার বিচারের জন্য জোড় দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
রবিবার (১৫ মার্চ) রাতের আঁধারে পূর্ব চন্দ্রমোহন সদর উপজেলার ফকির বাড়ি এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল ফকির ।
স্থানীয় রা’ বলেন, পৈত্রিক সূত্রে ও কাগজ পত্রে মূল জমির মালিক মোঃ আনোয়ার হোসেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই জমি দখলের পায়তারা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল ফকির ও তার সহযোগীরা।
আবুল ফকির এর ছত্র-ছায়ায় তার সহযোগী কালাম ফকির বাবুল ফকির সহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ মার্চ রাতের আঁধারে জোরপূর্বক নির্মাণ দিন ঘর ভাঙচুর ও উচ্ছেদ করে তারা। বাধা দিতে গেলে নারীদের ওপর হামলা চালায় এতে বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন।
ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন বলেন, এর আগেও একইভাবে আমার উপর হামলা চালায় তারা এবং জোরপূর্বক জমি দখলের পায়তারা করছেন তারা। এসব দখল মারধরের কাজে মদত দিয়েছেন চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের অনেক নেতৃবৃন্দরা।
আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অবস্থায় আবুল ফকির আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা সহ ব্যাপক হয়রানির করেছেন কখনো কোন স্থানীয় শালিস বা’ কোন ধরনের ন্যায় বিচার পাইনি আমরা। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে ও এখন ও কোন ন্যায় বিচার পাই না আমি ও আমার পরিবার।
ভাঙচুর ও দখলের পর এখনও নানারকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল ফকির ও তার লোকজন।
প্রকাশ্যে রাতের আঁধারে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় হয়ায় এনিয়ে, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন-ভুক্তভোগী পরিবার।
আওয়ামী লীগ নেতা আবুল ফকির কে একাধিক বার মুঠো ফোনে কল করলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ঘটনা শুনেছি কিন্তু এ বিষয়ে কোর্টে মামলা চলে, আমাদের কিছু করার নেই। কোর্ট যদি তদন্ত দেয় তাহলে আমরা বিষয়টি দেখব। বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগ নেতার সাধারণ মানুষের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার বিষয় জানতে চাইলে, ওসি কোন সদ উত্তর দিতে পারেননি।
Leave a Reply