বিশেষ প্রতিনিধি হবিগঞ্জঃ
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাংলাদেশের ২৩ টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ পৌরসভায় ১০ টি শৌচাগারের মধ্যে ৮ টি শৌচাগার করা হলেও নির্মানে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে। সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার ১০ টি শৌচাগার নির্মাণের জন্য প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকার বরাদ্দ দেয় প্রকল্প পরিচালক। আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার ১০ টি শৌচাগারের মধ্যে ৮ টির কাজ সম্পন্ন হলেও , এতে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে ,আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাধীন কারখানা মাদ্রাসায় একটি কমিউনিটি টয়লেটের সাইডের এপ্রোনগুলো হ্যান্ডওভারের পূর্বেই ভেঙে পড়েছে,এবং এইগুলোতে ইস্টিমিট অনুযায়ী কমেট,টাইলস, স্যানিটারী পাইপ নিম্ন মানের দেওয়া হয়।গরু হাটা পাবলিক টয়লেটে ড্রয়িং অনুযায়ী পাবলিক টয়লেটের মলের পিট এবং এপ্রোনের নিচে ৩ ইঞ্চি ইটের সলিং দেওয়া হয়নি।যার ফলে এপ্রোনগুলো ভেঙে যাচ্ছে।পাবলিক টয়লেটের আস্তরগুলো ফেটে যাচ্ছে, ও ইলেক্ট্রিক কাজের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই লাইট লাগানো হয়নি, নিম্ন মানের রং ব্যবহার করা হয়েছে। ইস্টিমিড অনুযায়ী টাইলস,লো কমেট,হাই কমেট,বিপ কক,এংগেল কক,বেসিন,সাবান দানি,টিস্যু বক্স করা হয়নি।সবক্ষেত্রেই নিম্ন মানের ব্যবহার করা হয়। পৌরসভার আজিমনগর লম্বাহাটি, রবিদাস পাড়া, লঞ্চঘাট, নগর মসজিদ, বাঁশ মহাল মসজিদ, নিগমানন্দ আশ্রমে সহ সব জায়গায় একই অনিয়ম পাওয়া যায়। আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার ৮টি শৌচাগারে একই অনিয়ম দেখা যায়। আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার ৮টি শৌচাগারের কাজটি পায় গ্রীনডট কোম্পানি লিমিটেড, তত্ত্বাবধানে আজমিরীগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী।
প্রকল্প ম্যানেজার মোঃ শাহীন মিয়া জানান,বুঝলাম না ভাই আপনি কি বলেন,কোন রকমের প্রবলেম হলে,পৌরসভা ও পিডি অফিসের অনুমতি নিয়ে কাজ করতে হয়।
আজমিরীগঞ্জ জনস্বাস্থ্য উপ- সহকারী প্রকৌশলী রবিউল এর দেখাশোনা করেন। এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রবিউল আলম এর সঙ্গে ফোনে আলাপ করলে তিনি বলেন আমার জানা মতে, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় যা কাজ হয়েছে, সবচেয়ে পৌরসভার কাজ ভাল হয়েছে। শৌচাগারের কাজের ইস্টিমিটে যা যা দরা ছিল সবই দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেব।