আটকে পড়া কর্মীদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাহরাইন সরকারের সাথে আলোচনা
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
বাহারাইন প্রতিনিধি
গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২০, বাহরাইন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি (কন্সুলারj অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান) শেখা রানা বিনতে ঈসা আল খালিফার সাথে বাহরাইনে বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত ড: মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
১. শুরুতেই মান্যবর রাষ্ট্রদূত ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া আটকে পড়া প্রবাসীদের বাহরাইনে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পুনরায় অনুরোধ করেন। আটকে পড়া কর্মীদের ফিরিয়ে আনা হবে না, এমন কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয় নি। তবে শেখা রানা জানান, এটি আসলেই দুর্ভাগ্য যে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব পুরো বিশ্বে পুনরায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। অর্থনীতির ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাবে সকল স্তরের কর্মীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এবং চাকরি হারাচ্ছে। তারপরও তিনি আটকে পড়া কর্মীদের একটি হালনাগাদ তালিকা প্রেরণের অনুরোধ জানান এবং এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ প্রেক্ষিতে আটকে পড়া সকল প্রবাসী ভাইদেরকে আগামী রবিবার (২৭ জানুয়ারি তারিখ) এর মধ্যে নিচের গুগোল ফর্মটি পূরণ করারও জন্য অনুরোধ করা হলো। এ বিষয়ে আপনারা বাংলাদেশের যে কোন কম্পিউটার/ ইন্টারনেট এর দোকানের সাহায্য নিতে পারেন।
২. মান্যবর রাষ্ট্রদূত বাহরাইন সুন্নি ওয়াকফ এর অধীনস্থ বাংলাদেশি মুয়াজ্জিনদের ভিসা নবায়নের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।
৩. মান্যবর রাষ্ট্রদূত ডঃ নজরুল বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী নতুন ভিসায় নিয়োগের অনুরোধ করলে শেখা রানা বাহরাইনের বাজারে বাংলাদেশী কর্মীদের চাহিদা ও সুনাম এর কথা উল্লেখ করেন এবং বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন। দক্ষতার গুণগতমান মূল্যায়নে দু'দেশের যৌথ একটি মেকানিজম প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও দুজন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া মান্যবর রাষ্ট্রদূত বাহরাইনে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যাপারে তার কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং সহযোগিতা কামনা করেন।
৪. দু'দেশের মধ্যকার অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে মান্যবর রাষ্ট্রদূত 'দশ বছর মেয়াদী কৌশলপত্রের' বিষয়ে অবহিত করলে শেখা রানা তাতে নিবিড় আগ্রহ প্রকাশ করেন, এবং তা ফলপ্রসূ করার জন্য বাহরাইন সরকারের আশু পদক্ষেপ এর নিশ্চয়তা দেন।
৫. এছাড়াও রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ও জনগুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে বৈঠকে তাঁর সাথে আলোচনা হয়।
৬. পরিশেষে, মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাকে বাংলাদেশের হালদা ভ্যালি চা ও দেশীয় চামড়াজাত পণ্যের স্যুভেনির উপহার হিসেবে প্রদান করেন।