মির্জা সাইদুল ইসলাম সাঈদ
স্টাফ রিপোর্টার দৈনিক বিজয়ের বাণী:
টাঙ্গাইলের সখিপুরে বিহীন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া বাসায় ৮ মাস ঘর সংসারের পর বর কলেজ ছাত্র রাব্বী লাপাত্তা। অবশেষে বিয়ের দাবিতে গত দুইদিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে রয়েছেন ওই কলেজ ছাত্রী (১৯)। আলোচিত এ ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাহার্তা রামখাঁ পাড়ায়। বধূ বাড়িতে আসছে শোনেই গাঁ ঢাকা দিয়েছে বিয়ে বিহীন বর কলেজ ছাত্র জাকারিয়া ইসলাম রাব্বী। রাব্বী ওই গ্রামের প্রবাসী লুৎফর রহমানের ছেলে এবং সরকারি মুজিব কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, রাব্বিদের বাড়ির প্রতিটি ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান করছেন বাড়ির অন্য সদস্যরা। আর বাইরে এক কাপড়ে বসে অনশন করছেন ওই কলেজছাত্রী। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন তাকে দেখতে ভিড় করছেন। খাবার দেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়েন। মেয়েটি জানায়, ঘরে ঢুকার চেষ্টা করলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন রাব্বির পরিবারের লোকজন। বিয়ের দাবি পূরণ না হলে তিনি এ বাড়িতেই আত্মহত্যা করার ঘোষণা দিয়েছেন।
জানা যায়, বিগত দেড় বছর আগে রাব্বির এক বন্ধুর মাধ্যমে মুঠোফোনে প্রথম পরিচয় হয় আবাসিক মহিলা অর্নাস কলেজ পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সঙ্গে। এক পর্যায়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পৌরসভার উত্তরা মোড় আবদুস সালামের বাসা এবং ক্যাপ্টেনমোড় এলাকায় ঐশিদের বাসা ভাড়া নিয়ে ৮ মাস ধরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করেন তারা। বার বার বিয়ের চাপ দিলেই নানা তাল বাহান শুরু করেন রাব্বী। এক পর্যায়ে রাব্বী যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। শেষে নিরুপায় হয়ে রবিবার থেকে বিয়ের দাবিতে রাব্বীর বাড়িতে এসে অনশন করছেন ওই কলেজছাত্রী।
বিষয়টি জানতে চাইলে,রাব্বির দাদা আবদুর রহমান বলেন, নাতি অন্যায় করেছে, স্থানীয় গণ্যমান্য মাতাব্বররা যে ব্যবস্থা নেবেন আমরা তা মেনে নেবো।
ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খলিলুর রহমান বলেন, গত রাতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে বসা হয়। পরে ছেলে পক্ষের অনিহার কারণে নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় কাউন্সিলর ফজলুর রহমান বলেন,স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু ব্যবস্থা না হলে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা লেবু মিয়া।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।