মোঃ রাসেদুল মিয়া
"স্টাফ রিপোর্টার"
বেতাগী উপজেলা
বরগুনার আমতলী পৌরশহরের ফেরীঘাট এলাকার বাসিন্ধা ও আমতলী মফিজ উদ্দিন বালক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক (ভোকেশনাল) এনামুল হকের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জনণী গৃহবধূ মরিয়ম বেগম (৩০) পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গতকাল (বুধবার) সকালে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেন।
গৃহবধূর শামস (১২) ও জান্নাতি (৬) নামে দুটি শিশু সন্তান রয়েছে।
স্থাণীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার পরে স্বামী শিক্ষক এনামুলের সাথে স্ত্রী মরিয়মের সাথে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রী মরিয়ন ঘরের মধ্যে একটি রুমে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা আটকিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এসময় স্বামী এনামুলের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে দরজা ভেঙ্গে স্ত্রী মরিয়মকে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে দ্রুত নামিয়ে প্রথমে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
রাতেই তার অবস্থার অবনতি হলে পটুয়াখালী থেকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেওয়ার পথে পথিমধ্যে রাত ১০টার দিকে বাখেরগঞ্জে বসে তার মৃত্যু হয়।
সংবাদ পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল (বুধবার) সকালে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিক্ষক স্বামী এনামুল হক মুঠোফোনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পরে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে আমাদের দু’জনের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমার স্ত্রী অভিমান করে ঘরের একটি রুমের দরজা আটকিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে আমতলী থানার পরিদর্শক (ওসি) মোঃ শাহ আলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।