সৌমেন মন্ডল, রাজশাহী ব্যুরো:
আগামী ২১ জন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মহানগরে মোট ৩০ টি ওয়ার্ড মিলে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন গঠিত। আওয়ামী লীগ দল ক্ষমতায় আসার পর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে যেটি সারা বিশ্ব দেখছে। উন্নয়নে ভাসছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ড। ৩০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দাবি বর্তমান কমিশনার মতিউর রহমান মতি।
মতি বলেন সাত নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিটি অলিতে গলিতে ও মহল্লায় যেভাবে আমি উন্নয়ন করেছি মানুষ আমার এই উন্নয়ন দেখে আবারও ২১শে জুন ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
এলাকার স্থানীয়রা সময় সংবাদ.কম বলেন গতবার মতি নির্বাচিত হয়েছিল এবারও এলাকার মানুষ মতির উপরেই আস্থা রাখবেন। বর্তমানেও কমিশনার মতির গ্রহণযোগ্যতা আছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। যখন করোনা সময় মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছিলেন না তখন তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অক্সিজেন থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিয়েছি। ওয়ার্ডের ডেনেজ ব্যবস্থা ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি। যুব সমাজকে মাদকাসক্ত থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন।
ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফাতেমা বিবি বলেন প্রতিটি মহল্লা থেকে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সাহায্য সহযোগিতা করেছে।
ওয়ার্ডের উন্নয়ন সম্পর্কে বর্তমান কমিশনার মতিউর রহমান মতি বলেন এই পাঁচ বছরের মধ্যে দু বছর করোনার জন্য তেমন কিছু করতে পারেনি তাছাড়া আমি কি কাজ করেছি জনগণ তা মূল্যায়ন করবেন।৭ নং ওয়ার্ডের বেকারত্ব দূর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি আমার সাত নাম্বার ওয়ার্ডে শহীদ কামরুজ্জামান চিড়িয়াখানার কাজ চলমান রয়েছে সেখানে অনেকের চাকরির ব্যবস্থা করে দিব।
তিনি বলেন রাজনীতির মাঠে প্রতিপক্ষ থাকবেই আমার এই ওয়ার্ডেও ভোটের লড়াইয়ে যদি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণ ভোট দেয় তবে আমি আবারও বিপুল ভোটে পাস করব।
চন্ডিপুর বাসিন্দা, মানিক সরকার বলেন এই ওয়ার্ডে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আবারও মোদিকেই প্রয়োজন। ঝড় কিংবা বৃষ্টি করোনা মহামারীতেও দিন কিংবা রাত যখনই মুঠোফনে সমস্যার কথা জানিয়েছি ছুটে এসেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের যেমন উন্নয়ন হয়েছে আমাদের সাত নাম্বার ওয়ার্ডের ও সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে বলে মনে করে আমি।
বেটিয়াপাড়া বুড়ি পুকুরের স্বর্ণালী জানান কমিশনার হওয়ার সময় মতি ভাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমাদের এই রাস্তাটি করে দেবেন তিনি তার প্রতিশ্রুতি রেখেছেন । চিড়িয়াখানার কাজ শেষ হলে সেখানে অনেকের চাকরির ব্যবস্থা করবে বলেছেন সামনে নির্বাচনে তাকে আমরা আবারো কমিশনার হিসেবে দেখতে চাই।