মোঃ মিজানুর রহমান
নির্বাহী সম্পাদক
ঢাকা
প্রথমত, জাল যার জলা তার।
দ্বিতীয়ত, দলিল যার জমি তার।
তৃতীয়ত, মেধা-দক্ষতা-যোগ্যতা যার চাকুরী তার।
চতুর্থত, জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি।
পঞ্চমত, কর্মীবান্ধব নেতা।
এই পাঁচটি নীতির উপরে আগামী পাঁচ বছরে আমরা সিংড়াকে মানবিক, নান্দনিক, স্মার্ট সিংড়া হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
আজকের এই নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমি প্রথমেই মহান আল্লাহ্পাকের কাছে শুকরিয়া আদায় করতে চাই, তারপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই যিনি মাত্র ২৬ বছর বয়সে প্রথমবার আমাকে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রদান করেছিলেন এবং পরপর পাঁচবার আমাকে মনোনীত করে আস্থা রেখেছেন। আমার এই সিংড়ার পাঁচ লক্ষ জনগোষ্ঠী, ৩ লক্ষ ৮ হাজার ৭৯৪ জন ভোটারের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা আমার প্রতি আস্থা রেখে পরপর চারবার নির্বাচিত করেছেন। স্বাধীনতার পর সিংড়ায় কেউ পরপর চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেনি, সিংড়াবাসী আমাকে সেই বিরল ইতিহাস তৈরি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানাই সিংড়া আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের প্রতি, যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। আমি আপনাদের এই ত্যাগ-শ্রমের মূল্য আমার শরীরের রক্ত দিয়েও শোধ করতে পারবো না, তবে সিংড়ায় উন্নয়নের পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে নান্দনিক, মানবিক, স্মার্ট সিংড়া গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাবো।
আপনাদের ভোট ও ভালোবাসায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করার পর থেকে আমি আর কোনো দল, গোষ্ঠী, ব্যক্তি, বলয় বা প্রতীকের নয়, সিংড়ার সকল মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছি।
আপনাদেরকে নতুন সিংড়া উপহার দেওয়ার জন্য পাঁচটি দাবিতে অটল থাকার প্রতিজ্ঞা করেছি। প্রথমত, ‘জাল যার জলা তার’ সিংড়ার কোনো জলাশয় কেউ জবরদখল করে রাখতে পারবে না, ইতোমধ্যে ১৫০ কিলোমিটার খাল আমরা দখলমুক্ত করেছি, এরকম বাঁধ এবং বাধা হয়ে যেই আমাদের সামনে দাঁড়াবে তাদেরকে আমরা নির্মূল করবো, ইনশাআল্লাহ্। খালে কোনো বাঁধ থাকবে না, নদীতে কোনো সূতী থাকবে না। দ্বিতীয়ত, ‘দলিল যার জমি তার’, কোনো জমি কেউ জবরদখল করতে পারবে না। সবাইকে সাথে নিয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিংড়া থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। তৃতীয়ত, ‘মেধা-দক্ষতা-যোগ্যতা যার, চাকুরী তার’, যার মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা আছে, তাকে সেই অনুসারেই চাকুরী বা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে ইনশাআল্লাহ্। আমি বলেছিলাম, উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে আরো কর্মসংস্থান। সেই কর্মসংস্থানের সুযোগ আমরা সৎ এবং ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতিতে নিশ্চিত করতে চাই। চতুর্থত, জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে আগামীদিনে জনবান্ধব জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে। পঞ্চমত, সৎ, জনবান্ধব, পরোপকারী, জনদরদী প্রতিনিধির পাশাপাশি কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব সৃষ্টি করা হবে। এই পাঁচটি নীতির উপরে আগামী পাঁচ বছরে আমরা সিংড়াকে মানবিক, নান্দনিক, স্মার্ট সিংড়া হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সাথে সাথে সিংড়ার উন্নয়ন কার্যক্রম চলতে থাকবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ, ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পুর্ণাঙ্গ দায়িত্ব অর্পণ করেছেন আপনাদের চলনবিলের সন্তানকে। আপনারা দোয়া করবেন যেন মহান আল্লাহ্পাক আমাকে আমার সিংড়াবাসীর সম্মান এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করার তৌফিক দান করেন। আপনাদের প্রতিটি সমস্যা আমি লিপিবদ্ধ করেছি, আগামী পনেরো মাসে সেগুলো সমাধানের ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ্। আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো, আমাদের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা-প্রতিযোগিতা যেনো কখনোই প্রতিহিংসার রূপ না নেয়। আমি সবাইকে উদাত্ত আহবান জানাই, আমরা সবাই মিলে একসাথে সিংড়াকে স্মার্ট সিংড়া হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সামনে তিনটা শত্রু আছে, সকলকে মিলে সেই শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। প্রথমত, সিংড়া থেকে মাদক চিরতরে নির্মূল করা হবে; দ্বিতীয়ত, সিংড়া থেকে দুর্নীতি দূর করা হবে; এবং তৃতীয়ত, সিংড়া থেকে সুদ ও ঘুষকে নির্মূল করা হবে।”
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সিংড়া নাগরিক কমিটি, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের জনগণ, সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সিংড়ার সকল শ্রেণী পেশার সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি।
নৌকা প্রতীকের বিজয় উপলক্ষ্যে সিংড়ার সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে জনসভায় এসব বলেন।
Leave a Reply