হাকিকুল ইসলাম খোকন ,যুক্তরাষ্ট্র সিনিয়র প্রতিনিধিঃ
গত ৫ই জানুয়ারী বোষ্টন শহরে অনুষ্ঠিত আমেরিকার রিপাবলিকান পার্টির সম্মেলনে বাংলাদেশ কমিউনিটির পরিচিত মুখ এবং বিবিএননিঊজের সম্পাদক সুহাস বড়ুয়া বোষ্টন সিটি ওয়ার্ড ১৩ এর কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। সম্মেলনে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি ও অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে মারিস্সা রিবেইরো এবং মারিয়া মার্টিনেজ। নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সুহাস বডুয়া বাপসনিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রবাসী বাংগালীদের যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পাশাপাশি মূল ধারার রাজনীতির সাথে জোরালো ভাবে সম্পৃক্ত হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। দুঃখের বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি স্টেট এ আজ আওয়ামী লীগের সংগঠনগুলো নেতৃত্বের দ্বন্ধে দ্বিধা বিভক্ত। একই আদর্শের নেতা-কর্মী হয়ে নিজেরা নিজেদের বিপক্ষে শক্তি ক্ষয় করে চলেছে। অপর দিকে মূলধারার রাজনীতিতে সেই সুযোগটা নিয়েছে বিএনপি জামায়াতের লোকজন। বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশ নামক একটি দরিদ্র দেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুততম সময়ে প্রথমে স্বল্প উন্নত দেশ এবং বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশে পরিবর্তন করে বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়েছে। যে দেশ দীর্ঘ ৩৫ থেকে ৪০ বৎসরে যা পারেনি, তা শেখ হাসিনা কয়েক বছরে দেখিয়ে দিয়েছে। এই অর্জন পৃথিবীর অন্যকোন উন্নত দেশে এত দ্রুত সময়ে হয় নাই। অথচ দুঃখের বিষয় আমেরিকার অধিকাংশ প্রবাসী বাংগালীরা ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থক, কিন্তু সেই ডেমোক্রেটিক পার্টির জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন থেকে শুরু করে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়নে নানা রকমের প্রতিবন্ধকতা ও রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগ সরকারকে হেয় করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের চাহিদা না মিটিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের রোষানলে পড়েন। প্রেসিডেন্ট ওবামার সময়ে তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারী ক্লিন্টন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে নানান ভাবে হয়রানীর চেষ্টা করে। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের সাত কর্মকর্তার উপর বিবেচনাহীন ভাবে হুমকিমূলক শাস্তি বা সেংশন আরোপ করে। এই সব কিছুর পেছনে রয়েছে আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী ও বাংলাদেশ বিরোধী দু'একজন লোক ও তাঁদের লেলিয়ে দেওয়া জামাত-বিএনপির প্রবাসী লোকজন। যখন ডেমোক্রেটিক পার্টি ক্ষমতায় আসে, তখন সেই লোকেরা এবং জামাত-বিএনপির কিছু লোক মূলধারার রাজনীতিতে ঢুকে মূলত বাংলাদেশ ও আওয়ামী সরকার বিরোধী কাজে ইন্দন যোগায় । তিনি প্রবাসী বাংগালীদের বিশেষ করে আওয়ামী পরিবারের লোকজনকে আন্তঃকোন্দল পরিহার করে আমেরিকার মূল ধারার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আহবান জানান। তিনি বলেন আমি বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে এবং সার্বিক কল্যানে আমেরিকার মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি। প্রবাসী বাংগালী এবং বাংলাদেশের কল্যানে আমি কাজ করে যাচ্ছি।