বিরামপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বিরামপুরে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও দ্রুত আলামত নষ্টের অভিযোগে জেসমিন আক্তার(৩০) নামে এক গৃহবধুর লাশ কবর থেকে উত্তোলোন করা হয়েছে। এর আগে গতবুধবার দুপুরে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর গ্রামে ওই গৃহবধুকে দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলি খিয়ারমামুদপুর গ্রাম থেকে ওই গৃহবধুর লাশ উত্তোলোন করা হয়। নিহত গৃহবধু জেসমিন ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুতের স্ত্রী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার উপস্থিত থেকে লাশ উত্তোলোন করা হয়। এর আগে বুধবার দুপুরে একই জায়গায় লাশটি দাফন করা হয়।
মামলার এজাহার সুত্রেজানাযায়, দীর্ঘ ১২ বছর আগে উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের চকশুলবান গ্রামের জেসমিন আক্তারের সাথে একই উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের পলিখিয়ার মামুদপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুতের সহিত বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে বিবাদ লেগেই থাকত। সোমবার দুপুরে নিজবাড়িতে ওঠানে তুচ্ছ ঘটনায় স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বেধড়ক মারপিট করতে থাকে স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুৎ।
এঘটনার কিছুক্ষন পরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে কিটনাশক পান করেন জেসমিন আক্তার। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই দিন সন্ধায় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসাদিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এর একদিন পর বুধবার ভোরে জেসমিন আক্তারের মৃত্যু হয়। বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে বুধবার দুপুরে আলামত নষ্ট করার উদ্দেশ্যে জেসমিন আক্তারের লাশ দ্রæত দাফন করানো হয়।
এদিকে,গত(২৬আগষ্ট)আত্মহত্যার প্ররোচনা এবং দ্রæত আলামত নষ্টের অভিযোগে স্থানীয় গ্রামপুলিশ হামিদুর রহমান বাদি হয়ে বেশ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিহত জেসমিন আক্তারের স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যুৎকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে দিনাজপুর কারাগারে প্রেরণ করেন।
জানতে চাইলে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন,‘ আত্মহত্যার প্ররোচনা এবং দ্রæত আলামত নষ্টের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন,‘বিষয়টি তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি নিয়েই আজ লাশ উত্তোলোন করা হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্ত শেষে আবারো কবরস্থ করা হবে।
এসময়,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার ,সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার ওয়াহেদুননবী, থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা(ওসি) সুমন কুমার মহন্ত, থানা পুলিশের পরিদর্শক(তদন্ত) মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।