জাকির হোসেন সুমন সিলেট ব্যুরোঃ
সিলেটে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সংকট। এ সংকটের মাঝে সবচেয়ে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য শয্যা। সিলেট নগরীর সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা দূরের কথা,সাধারণ শয্যাও যখন মিলছে না তখন আলোচনায় আসছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ ভবনের কথা।
পাঁচতলা এ ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুঝে নেয়ার পর থেকে কর্তৃপক্ষ ৪৫০ শয্যা করোনা আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দের অভাব ও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা না থাকার কারণে তা আটকে আছে।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সদ্য সাবেক উপপরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, পাঁচতলা এ ভবনে ৪৫০ ওয়ার্ড করোনা আইসোলেশন করার উপযোগী। সব কিছু প্রস্তুত। কেবল মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এবং কেন্দ্রীয় অক্সিজেন লাইন প্রয়োজন। তাই গত জানুয়ারি মাস থেকে আমরা মন্ত্রণালয়ে বারবার চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এটা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেও চেষ্টা করছেন।
এদিকে করোনা মহামারি শুরুর কিছুদিন পর থেকেই ওসমানী হাসপাতালে আলাদাভাবে করোনা ইউনিট স্থাপন করা হয়। শুরুতে ২৬০টি সাধারণ শয্যা আর ৮টি আইসিইউ শয্যা নিয়ে করোনা ও উপসর্গের রোগীদের চিকিৎসা শুরু হলেও সম্প্রতি তা বাড়িয়ে সাধারণ শয্যা বা করোনা আইসোলেশন শয্যা করা হয়েছে ৩৩০টি। আর আইসিইউ বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৮টি।
এর সঙ্গে আইসিইউ সমকক্ষ আরো ৫ শয্যা বাড়ানো হয়েছে। সব মিলে আইসিইউ হয়েছে ২৩টি। কিন্তু সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়ায় দেখা দিয়েছে সংকট। এ সংকটে ওসমানী হাসপাতালে আরো ৪৫০ শয্যা বাড়ানো অতি জরুরি বলেও মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।
অপরদিকে সিলেটে সংকট নিরসনে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার নগর ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস কনফারেন্স করেন।
এ সময় তিনি ওসমানী হাসপাতালের ৪৫০ শয্যা বাড়ানোর ব্যাপারটিকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে বলেন,পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছেন,আমিও চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো পদক্ষেপ মেলেনি। তাই যদি দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নেয়া হয় তাহলে সিসিকের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে।