ইউপিডিএফ ও জেএসএস কে নিষিদ্ধের দাবি পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের
রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, শান্তি, সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে পাহাড়ি সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএস কে নিষিদ্ধ ঘোষনার দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ।
রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে বাঘাইছড়িতে সরকারি অফিসে ঢুকে ইউপি সদস্য সমর বিজয় চাকমাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সংগঠনটি।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর কবির বলেন, পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রধারীদের সকল প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধের লক্ষ্যে দ্রুত চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে তাদের সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলে বেপরোয়াভাবে সন্ত্রাসীদের উত্থান হলেও এর লাগাম টেনে ধরার জন্য নেই পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পাহাড় থেকে সেনাবাহিনীর অনেক ক্যাম্প উঠিয়ে নেয়ায় পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। সেনা ক্যাম্প উঠিয়ে নেয়ার সুযোগে পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলো এখন নির্দিধায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। তাই পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প শান্তিচুক্তি পরবর্তি উঠিয়ে নেয়া সকল ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রশাসন যদি জনসাধারণকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় তবে ৭১ সালের মত পার্বতাঞ্চলের সাধারণ জনগণ আরো একটি মুক্তিযুদ্ধ রচনা করবে।
এসময় বক্তারা বলেন, দিন যত যাচ্ছে পাহাড়ে সশস্ত্র জঙ্গী সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফের অপতৎপরতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ত্রাসীরা আগের মত এখন আর জঙ্গলের মধ্যে সিমাবদ্ধ নেই। প্রশাসনের নিরাপত্তা বলয় ভেঙ্গে উপজাতি সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন জায়গায় চালাচ্ছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা। রেহাই পাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও। পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্তে কিছু দুর্গম এলাকা রয়েছে। পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফ যে অস্ত্র ব্যবহার করে তা সীমান্তের ওই দুর্গম এলাকা দিয়ে বাহির থেকে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে পাহাড়ে ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের অংশ হিসেবে বাঘাইছড়ি পিআইও অফিসে ঢুকে সমর বিজয় চাকমা নামের এক ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যার সাথে জড়িত জেএসএসের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান নেতৃবৃন্দরা। সমাবেশ শেষে সংগঠনটি রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে শহরের প্রধান সড়কে বনরুপা প্রদক্ষিণ করে কাঠালতলী গিয়ে শেষ হয়।
উক্ত সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ ফরাজি সাকিব এর সভাপতিত্বে ও সিঃ সহ-সভাপতি মোঃ হাবিব আজম এর পরিচালনায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নাদিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি কাজি মোঃ জালোয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মামুনুর রশীদ মামুন এবং প্রচার সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম প্রমূখ।